লক্ষ্যে অর্জনে কার্যকরী উপায়।
কোন কিছু অর্জনের জন্য লক্ষো ঠিক করা খুব দরকার।
আমি অনেক আর্টিকেল পড়েছি যারা নিজ নিজ যায়গায় প্রতিষ্ঠিত।
ওনাদের সবার একটা বিষয় খুব স্থির ,তা হল সুনির্দষ্টিত একটা লক্ষ্যে। শুধুমাত্র তা স্থির করলেই হবে না ,এইবার দায়িত্ব এসে পরে তা সম্পূর্ণ করার।
আমাদের কারো জীবনেই কোন কিছু হুট করে ঘটে যায় না।
এর পিছনে একটা লম্বা গল্প থাকে।
আর যার কোন গল্প থাকে না তাঁর কোন অর্জনও থাকে না।
আমি কখনো লম্বা লক্ষ্যে ঠিক করি নাই।
সব সময় ছোট ছোট ইচ্ছা ঠিক করে তা লম্বা সময় ধরে চেষ্টা করে যেতাম।
তার জন্য কখন সময়ও নির্ধারণ করিনাই। এই প্রথম চেষ্টা করব নিয়াত করলাম।
তার আগে জানা দরকার আসলে এই যে মানুষ লক্ষো ঠিক করে তা পূর্ন করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার হয় বা নেওয়া উচিৎ।
আমার কাছে পাঁচটা কাজ খুবি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। আর আমার যেহেতু খুব সামান্য অভিজ্ঞতা আছে ,তাই নিজের ভুল কোথায় ছিল সেটাও বুজতে পেরেছি।
আর তা হল সময় নির্ধারণ না করা। যাক সে কথা। আমি আজকে পাঁচটি কৌশল এর কথা লিখব যা অনুসরণ করলে বিশ্বাস করি যেকোন লক্ষো পূরণ হবে ইনশাল্লাহ।
১. স্পষ্ট কারণ
আমি যা করতে চাচ্ছি তার একটা স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে হবে। কেন আমি একমাস পর বা দুই মাস পর এই লক্ষ্যে পৌছাইতে চাইছি। এতে আমার কি লাভ হবে। এমন একটা স্পষ্ট বর্ণনা নিজের মনের ভিতর থাকতে হবে। শুধু শুধু চাইলেই হবে না। কেন বলছি।
যখন এর একটা উদ্দেশ্য থাকবে তখন আমাদের অবচেতন মন বার বার আমাদেরকে তাড়া দিবে সেই লক্ষ্যে কাজ করার জন্য।
২. খাতায় লিখে রাখা
আমি যা চাইছি তা সুন্দর করে একটা নোট তৈরী করতে হবে। এতে করে আমাদের মনেও একটা নোট স্বাভাবিক ভাবেই তৈরী হবে।
আর আমাদের অবচেতন মন সেই অনুযায়ী কাজ করতে থাকবে।
৩. পড়া
আমি যা লিখেছি তা প্রতিদিন একবার করে পড়া। কাজ কতটুকু করলাম তা হিসেব না করি। শুধু পড়ব। এতে খুব বেশি সময় লাগার কথা না।
ডাইরি খুলতে যদি কষ্ট হয় তাহলে গ্রিড ওয়াল ব্যবহার করতে পারি।
প্রতিদিন সেগুলো দেখার জন্য ,পড়ার জন্য।
আমি যখন পড়ব তখন একটা আইডিয়া হয়ে যাবে ,এই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমার কাজ করতে হবে।
তার আগে এই কাজের জন্য যা যা প্রয়জনীয় উপাদান লাগবে তা রেডি করা। যেমন আমি প্রতিদিন লেখার অভ্যাস তৈরী করতে চাইলে কলম এবং খাতা রেডি রাখা।
আমি বই পড়ার সু অভ্যাস করতে চাইলে কি কি বই পড়তে চাইছি তার লিস্ট তৈরী করে ,বইগুলি কিনে ফেলা।
৪. প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হওয়া
আমাদের লক্ষ্যে যত শক্ত থাকে আমরা নিজেরাই তত প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হই। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করতে হবে। যেমন করে হোক আমি এর পিছনে লেগে থাকবোই। আমি জানি এইটা কঠিন কিন্তু কোন কাজেই যদি সহজ খুঁজি আরাম খুঁজি তাহলে স্বপ্ন পূরণ করতে তত কঠিন হবে। কেউ কারো স্বপ্ন সহজেই পূর্ন করতে পারে না। সবার একটা পিছনে কষ্টের গল্প থাকে।
৫. সময় নির্ধারণ করা
খুব গুরুত্তপুর্ন একটা বিষয়। আমি যা বরাবরেই ভুল করেছিলাম। একটা নিৰ্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে।
যে আমি এই সময়ের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করব। তারপর প্রতিদিন সে কাজের মধ্যে ফোকাস করা।
প্রতিদিন সামান্য করে হলেও সেই কাজের কিছু অংশ করা।
শুরুটা এমন হলে কাজ সময়ের আগেই সম্পূর্ণ হবে।
আশাবাদী ইনশাল্লাহ।
আমাদের সবার স্বপ্ন থাকে। কেউ পূর্ন করতে পারে কেউ পারে না। এতে কোন যাদু নেই।
শুধু আবেগ আর শক্ত একটা ইচ্ছা।
নিজের স্বপ্নটাকে লিখে ফেলেন।
একটা সময় বেঁধে দিয়ে কাজ শুরু করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
Add Comment