আত্মউন্নয়ন অনুশীলন

যে অভ্যাস গুলি আমাকে মানুষিক শান্তি দিতে সাহায্য করে।

অভ্যাস
অভ্যাস

অভ্যাস আমাদের চরিত্র গঠন করে। আর এই চরিত্র আমাদের ভাল রাখে খারাপ রাখে। আমি আজকে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। যেখানে আমার এমন কিছু অভ্যাস বলব যেগুলো আমাকে মানুষিক এবং শারীরিক ভাবে শান্তিতে রাখতে সাহায্য করে।

১. সকাল দেখা :

মাত্র দুইটা শব্দ। কিন্তু আমার কাছে পাহাড় সমান কঠিন। কারণ আমি সকালের পাখি না।
তবে যেইদিন সকাল দেখি আমি লক্ষ্য করেছি সেইদিন আমার ভাল নয় খুব ভাল গিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
আমি যেগুলো উপলব্ধি করেছি। সকালের কাজ গুলো খুব দ্রুত শেষ হয়েছে। কাজের মানুষিক চাপ থেকে মুক্তি।
কিছুটা সময় একদম নিজের জন্য বের করা কঠিন কিছুই না। সকালের হাওয়া সকল রোগের দাওয়া। কিছু কথার ফল আসলে নিজে অর্জন করলেই এর স্বাদ বুজতে পারা যায়।
তাই আমার নিজের সাথে যুদ্ধ চলতেই থাকবে ভোরের পাখি হবার যে জন্য।

 

২. দায়িত্ব গ্রহণ করা :

দায়িত্ত্ব নেওয়া এবং তা পালন করার মধ্যেও সুখ আছে।
তাছাড়া দুনিয়ায় আমরা যারা বেঁচে আছি সবার কিছু না কিছু দায়িত্ব কর্তব্য আছে।
আমরা যারা এগুলো পাশ কাটিয়ে যেতে চাই তারা কখন মানুষিক ভাবে ভাল থাকবে না।
একজন গৃহিনী হিসাবে আমার যতটুকু দায়িত্ব বা কর্তব্য আছে তা আমি পালন করি খুব ভালবেসেই।
আরেকটা কথা যে কাজে ভালবাসা থাকে না সে কাজ খুব ভালভাবে করলেও ফলাফল ভাল আসে না।
তাই এইসব কাজ আমাকে একধরনের ভাললাগা দেয়।

৩.  পড়াশুনার অভ্যাস :

সেই ছোট বেলা থেকেই  শুনে এসেছি। পড়াশুনার গুরুত্ত, কিন্তু গুরুত্ব বুজতে পেরেছি অনেক দেরিতে।
হয়ত কিছু বছর আগেও বুজলে জীবনের পরিবর্তন আনতে পারতাম। তবুও তৃপ্তি দেরিতে হলেও আল্লাহ ভাল কিছু বোঝার তৌফিক দিয়েছেন। আমার পড়াশুনার প্রতি ভালবাসা আসে এইত বছর খানিক হবে। এতটুকুতেই বুজতে পেরেছি যেখানেই আমি ভাল করতে চাইনা কেন ,বইয়ের কোন বিকল্প মাধ্যম নেই। তাই চেষ্টা করি প্রতিদিন ৩০ মিনিট হলেও পড়তে ,
যা আমাকে ভীষণ রকম শান্তি দেয়।
আমি বুজতে পারছি ,শিখতে পারছি ,জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত নিতে খুব সহজ হয়ে যাচ্ছে।

৪. প্রার্থনার অভ্যাস :

হয়ত এই কথাটা প্রথমেই বলা উচিৎ ছিল।
আমার মনে হয় না, দুনিয়ায় এমন কোন মানুষ আছে যে বলবে প্রার্থনা মানুষিক শান্তি দেয় না।
তবে একটা বিষয় বলি শুধু করার জন্য করা। এই অনুভূতি থাকলে এর গুরুত্ব বা শান্তি উপলব্ধি করা যায় না।
যেকোন সমস্যার জন্য উপর ওয়ালার কাছে খুব মনোযোগ দিয়ে প্রার্থনা আমাকে মানুষিক ,শারীরিক শান্তি দেয়।
এই অভ্যাস আমি আরো বাড়াতে চাই ,প্রতিদিন তাই চেষ্টা করছি।

৫. নিজেকে সময় দেওয়া :

জীবনের জন্য কাজ ভাল লাগে কিন্তু নিজেকে যন্ত্র বানিয়ে ফেলা আমার একদম অপছন্দ।
আমি নিজেকে সময় দিয়ে মাঝে মাঝে ভাবতে বসি।
আজকে কাজটা করলাম এইটা কিভাবে করলে আরো সুন্দর হতে পারত?
আমি যা করছি কোথাও ভুল হচ্ছে নাত ? আত্মসমালোচনা খুব দরকার জীবনে।
আমি কাজ গুছিয়ে করার চেষ্টা করি তাই সপ্তাহে অথবা মাসে ৩/৪ বার সকল কাজের চিন্তা মাথা থেকে জেড়ে ফেলতে পারি।
পারি এক কাপ চায়ের সাথে আকাশ দেখতে। পারি সবুজ দেখতে। উপভোগ করতে পারি জীবনকে। খুব তৃপ্তি নিয়ে ভাবতে পারি।
এই সময় সকল ডিভাইস এবং নিজের দায়িত্ব থেকে দূরে থাকি।
এই অভ্যাস আমাকে ভীষণ রকম শান্তি দেয়।

৬. মোটিভেশনাল কথা শোনা /ভাল কথা শোনার অভ্যাস :

আমার যখনি ভিতরের শক্তি কমে আসে আমি অনলাইনে মোটিভেশনাল কথা শুনি।
ভাল লাগে। এই অভ্যাস ভিতরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
আবার এমন কিছু ভাল কথা ,অথবা ভাল অভ্যাস ,নোট করে রাখি।
তেমন ভাল অভ্যাস হবে কিনা জানি না। তাদের মত হতেও পারব না।
কিন্তু মনে মনে এমন একটা ভাবনা ভাবতে থাকি। যে আমি একজন ভাল মানুষ। ভাল কথা গুলো নিজের মনের ভিতর কল্পনা করি।
তখন একটা ভাল লাগা ভিতর থেকেই কাজ করে।

এই গুলো শুধুই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা বলতে পারেন নিজের ভাল লাগা খারাপ লাগা গুলি লিখে রাখা। যদি মনে বিশ্বাস থাকে তাহলে চেষ্টা করে দেখলে কেউ হতাশ হবেন না। বিশ্বাস না থাকলে চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। সবাইকে ধন্যবাদ।

 

2 Comments

Click here to post a comment

ads