নিজের যত্ন

সময়কে কাজে লাগানোর ৫টি ইতিবাচক কৌশল

time management

সময়কে কাজে লাগানোর কথা যদি  আমি বলতে শুরু করি , বলতে শুরু করি যদি  সময়ের প্রয়োজনীতা তাহলে আপনার কাছে মনে হতে পারে রচনা লিখছি।
কারণ সময়ের প্রজনীয়তা এই বিষয়ে আমি রচনা মুখস্থ করেছি ।
প্রাইমারি থেকে হাইস্কুল পর্যন্ত।
ইংরেজি অথবা বাংলায় এই বিষয়ে ৫০০ শব্দের মধ্যে লিখা খুব কমন একটা বিষয় ছিল।
যাক সে বিষয় , আমি শুধু পড়ার জন্য পড়েছিলাম কোনোদিন সেই অনুভূতি আমার ভিতরে কাজ করেনি ।
আসলেই সময় ব্যবস্থাপনা (Time Management) একটা শেখার এবং অনুশীলন করার বিষয়।

সময়কে কাজে লাগানোর ৫টি  ইতিবাচক কৌশল :

সময় ব্যবস্থাপনা (Time Management)  এইখানে দুইটা শব্দ আছে একটা সময় যা সবার জন্য নির্ধারিত ।

আরেকটা ব্যবস্থাপনা যা কৌশলের সাথে ব্যবহার করা বুজায়।
নিজের বুদ্ধি আর কিছু কৌশল অবলম্বন করলে আমরাও সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি।
অনেকগুলি কৌশলের মধ্যে আমি ৫ টি আলোচনা করব।
যেগুলো আমার কাছে বেশি গুরুত্তপূর্ণ মনে হয়েছে।

সময়কে কাজে লাগানোর ৫টি ইতিবাচক কৌশল

ইচ্ছাশক্তি:

আমাদের মধ্যে যারা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারিনা তাদের একটা আফসোস বা অভিযোগ সব সময় থাকে , আহা !! আরেকটু যদি সময় পেতাম।
অনেক কিছুই করা হয়ে উঠে না , সব দোষ যেন সময়ের।
সময়টা খুব কম।
আসলে এইগুলা সবি মিথ্যা অভিযোগ , সারাজীবন যদি আফসোস করি তবুও ২৪ ঘন্টা বাড়বে না।
তাই আমার মতে প্রথম কাজটাই হল একটা ইতিবাচক ভাবনা।
একটা দিন অনেক সময় , আমি চাইলেই নিজের চাওয়ার সাথে কাজগুলো খুব ভালভাবে গুছিয়ে করতে পারি।
ইতিবাচক চিন্তা করে নিজের ভিতর ইচ্ছাশক্তিকে শক্ত করতে হবে।
এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে।

গুরুত্ব অনুযায়ী সাজাই :

মেয়েদের সংসারে অনেক টুকিটাকি কাজ থাকে।
কাজ গুলো নির্দিষ্ট নয়।
হিসাব করেও করা যায় না।
দ্বিতীয় কাজটা হোক গুরুত্ত অনুযায়ী কাজগুলোকে ভাগ করে নেওয়া।
যেমন সকালে আমাদের প্রধান কাজ হল নাস্তা তৈরী করা ।
এবং ঘর পরিষ্কার করা।
এখন এই দুইটা কাজ রেখে যদি আমি কাপড় ধুইতে যাই ।

তাহলে নাস্তা আর সময় মত করা হবে না।
সব কাজ এলোমেলো হয়ে যাবে।

এই জন্য খুব ভালো হয় ডাইরিতে লিখে রাখা একদম প্রধান ৪ টা কাজ।
যা না করলেই নয়। এবং সেগুলো আগে করে ফেলা।
যদি কাজগুলো এমন হয় যে বেশখানিক সময় ব্যয় করতে হবে ।

তাহলে মাঝে মাঝে বিরতি নিতে হবে।

(এই বিরতিতে কোন বিনোদনে  অংশগ্রহণ করা যাবে না , শুধু নির্ধারিত কাজগুলোকে নিয়েই ভাবতে হবে )
বিরতির এই সময় আমাদের মস্তিষ্ক পরিকল্পনা করে পরের কাজটা কিভাবে করব।
এতে করে কাজ দ্রুত এবং গুছিয়ে করা যায়। সময় বেঁচে যায়।

গুরুত্ব অনুযায়ী সাজাই

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা :

সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য নিজের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ শক্তির  প্রয়জোন।

আমরা এখন এমন যুগে বাস করছি যে আমাদের মনোযোগ নষ্ট হবার সুজুগ চারিদিকে অনেক।
ধরেন আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছি , মোবাইলের মেসেঞ্জারে টুক করে শব্দ হল।
স্বাভাবিক ভাবে আগ্রহ আসে দেখিতো কে নক করলো।
হালকা পাতলা হাসি দিয়ে আমরাও আরেকটু নক করি।
এইভাবে একটু আদটু করে অনেকটা সময় কাজের মধ্যে চলে যায়।
শেষে হিসাব করে দেখা যায় ১ ঘন্টার কাজ ৪ ঘন্টায় শেষ করছি।

তাই নিজেকে এইসব থেকে বিরতি দিতে হবে।
নিজের মধ্যে একটা স্বচ্ছ ধারণা বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধ রাখতে হবে।
ভাবতে শিখতে হবে আমি যদি এই কাজের একঘন্টা মোবাইলের ডাটা অফ করে রাখি তাহলে বিশেষ কোন কারো ক্ষতি হবার কথা নয়।
খুব বেশি প্রয়জোন হলে ফোন করবে।
আবার অনেক সময় কম গুরুত্বপূর্ণ ফোন আসতে পারে ,নিজেকে বুজতে হবে এই ফোন কলটা আমার কাজের থেকে বেশি গুরুত্ববহন করে কিনা।
আমি চাইলেই তাকে দশ মিনিট পর ফোনে যদি কথা বলি তাহলে বিশেষ কোন ক্ষতি হবে না।
এইভাবে যদি কিছুদিক আমরা কৌশল অবলম্বন করি তাহলে সময় সঠিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব।

পরিপাটি হওয়া :

পরিপাটি বলতে বুঝিয়েছি যে আমাদের গুছিয়ে কাজ করতে হবে।

আমাদের কাজের ক্ষেত্রটা যদি গুছানো থাকে তাহলে কম সময়ে সুন্দর করে গুছিয়ে কাজ করা যায়।
যেমন একজন গৃহিণীর জন্য প্রধান কাজ হল রান্না করা।

তাই এই ঘরটা পরিপাটি আর গুছানো যদি না থাকে তাহলে হলুদ ,লবন আর তেজপাতা খুঁজতেই যে সময় চলে যায় একটা গুছানো রান্না ঘর থেকে আরেকজন গৃহিণীর রান্না বান্না শেষ হয়ে যায়।
যারাই অপরিচ্ছন্ন যায়গা থেকে কাজ শুরু করে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজতেই সময় চলে যায়।
প্রতিটি জরিপ থেকেই দেখা গেছে যে , পরিপাটি কাজের ক্ষেত্র থেকে কাজ করলে সে অধিক মনোযোগী হয় এবং কর্মদক্ষতা দুই তিন গুন্ বেড়ে যায়।

পরিপাটি রান্নাঘর

অভ্যান্তরিন উন্নতি :

কথাটা শুনে অনেকেই অবাক হবেনা তাই না ?
আসলে সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য এর গুরুত্ব আছে।
থাকতে হবে নিজের প্রতি বিশ্বাস ,ভালোবাসা।
এবং নিজেকে বুজতে পারার ক্ষমতা।

এইসব না থাকলে কোন কাজেই আগ্রহ আসবে না।
ভাল্লাগে না এই অনুভূতির সাথেই কেটে যাবে অনেকটা সময়।
দিন শেষে কাজের কোন কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তাই নিজের ভিতরের মনের বাইরে শরীরের দুইটার যত্ন নিতে হবে।
যদি আমরা চাই সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে।

internal development

আসলে সময় ব্যবস্থাপনার অনেক নিয়ম আছে ।

সব গুলোই শেখার এবং অনুশীলন করার বিষয়।
আমার কাছে উপরের পাঁচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে ।
তাই আমি এইগুলা নিয়ে বলছি। আমার কাছে মনে হয় নয় ।
আমি বিশ্বাস করি এই অনিশ্চিত জীবনের জন্য শুধু কাজ আর  কাজ করে জীবন শেষ করার কোন অর্থই নেই।
জীবনকে উপভোগ করতে শিখতে হবে।

সময়ের সাথে আবেগের পরিবর্তন আসে ।
সব আবেগকে গলা টিপে মারতে হয় না।
সময়ের সাথে কিছু উপভোগ করতে জানতে এবং শিখতে হয়।

 

ads