গরমে ঘাম স্বাভাবিক। এই গরমে শরীর ঘামবে ব্যাপারটা স্বাভাবিক ,তবে যখন ঘাম দিয়ে দুর্গন্ধ আসে তখন আসলেই বিব্রত হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিছু বিষয় মাথায় রাখলে এই বিব্রতকর বিষয়টি এড়িয়ে চলা যায়। ঘামের নিজের কোনো গন্ধ নেই কিন্তু যখন শরীরের সাথে মিশে যায় তখন দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। ত্বকের ওপর লেগে থাকা ঘামে একধরনের ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তি হয় বলে এই দুর্গন্ধ হয়। তাই দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে কিছু কথা।
আঁটসাঁট পোশাক কিংবা সিনথেটিক বা কৃত্রিম তন্তুর পোশাক কখনোই আরাম দায়ক নয় , গরমে তো প্রশ্নই আসেনা। তাই এই ধরনের পোশাক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সুতি এবং ঢিলে ঢালা কাপড় পরেন ,এতে গরমে আরাম পাওয়া যাবে। এবং বাতাস চলাচল করতে পারে ,এতে শরীর ঘামে ভিজে না।
গরমে বাড়তি যত্ন হলো ,প্রতিদিনের কাপড় প্রতিদিন ধুয়ে দিতে হবে। পায়ের মোজা ও অন্তর্বাস বিশেষ করে আগের ব্যবহার করাটা পরবেন না। আজকে যে কাপড় পরে অফিসে গেছেন কালকে আর একটা পরেন। তানা হলে যে ঘাম কাপড়ে লাগে তা পরের দিন কাপড় দুর্গন্ধ করে ,সেখান থেকে নিজের শরীর। বাড়িতে যে পোশাক পরলেন তা যদি ঘেমে যায় তাহলে বদলে ফেলেন।
প্রতিদিন গোসল করুন। শরীরের ভাঁজগুলোতে এন্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ ঘষতে পারেন। তবে সাবান দিয়ে সব সময় ঘষতেই হবে এমন কথা নেই, পানির ধারায় নিজেকে পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে দিনে দুবার গোসল দেন তাতে কোনো সমস্যা নেই বরং ঘাম বসে গিয়েই সমস্যা হতে পারে।
অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডের মিশ্রণ চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করা যায়। অনেক এন্টিপারসপিরেন্ট ও ডিওডোরেন্টে এ উপাদান দেওয়া থাকে। ত্বক পরিষ্কার করার পর এটি ব্যবহার করা যায়।
মসলাযুক্ত খাবার, কফি, অ্যালকোহল ঘাম বাড়াবে। গরমে এগুলো কম খাওয়া ভালো।
মোটা মানুষদের ঘাম বেশি হয়। ওজন কমান। কৈশোরের শুরুতে ঘামে দুর্গন্ধ বাড়ে। এটি হরমোনের প্রভাব। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
Add Comment