আত্মউন্নয়ন অনুশীলন

কিভাবে কম শ্রমে অধিক লাভবান হওয়া যায়

কম শ্রমে আসলেই কি অধিক লাভবান হওয়া যায়?
কম শ্রমে আসলেই কি অধিক লাভবান হওয়া যায়?

The 80/20 Principle — The Secret to Achieving More with Less

বইটি লিখেছেন রিচার্ড কোচ। শিখিইয়েছেন কিভাবে কম শ্রমে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
২০% পরিশ্রম করে ৮০% লাভবান সম্ভব। খুবি মজার বিষয় হল এই থিউরী আমাদের জীবনকে উন্নতি করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারব।
পড়াশুনা ,ব্যবসা বাণিজ্য ,সম্পর্ক মোটামুটি সব ক্ষেত্রে।

আমি তিন বিষয় উল্লেখ করি তাতে হয়ত কিছুটা বুজাইতে পারব।
এইভাবে আমি আগে কখনো ভাবিনি বিষয়টা  সত্যি দারুণ অনেক কিছু থেকে মানুষিক অশান্তি দূর হবে ,সময় বাঁচবে নিজের ভাললাগা,
পছন্দের  কাজ আর ভালোবাসার মানুষগুলোর প্রতি বেশী করে মনোযোগী হওয়া সম্ভব।
এতে করে জীবনের উন্নতি মোটেও অসম্ভব নয়।

ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উন্নতি

আবার যদি ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষেত্রে বলি ,একটি দোকানে যতগুলো পন্য আছে, তার মধ্যে ২০% পন্য এই রকম থাকে যা ৮০% সময় বিক্রয় হয়।
মানে প্রত্যেকটা দোকানে দেখবেন যেকোন একটা নির্দিষ্ট আইটেম বেশী পরিমাণে থাকে।
এর কারণ হল ওই দোখানে ওই পণ্য বেশী বিক্রি হয়।
৮০% লাভ এই একটা বিশেষ পণ্য থেকেই আসে।
এখন এই দোকানের মালিক যদি এই  পণ্যের দিকে বেশী খেয়াল রাখেনা মানে ইনভেস্ট বেশি করেন তাহলে অধিক লাভবান হবেন।

ব্যক্তিগত জীবনে উন্নতি

লক্ষ্য করলে বুজতে পারবেন আপনার যতগুলো জামা কাপড় আছে তার মধ্যে ২০% জামা আছে যা আপনি ৮০% সময় পরেন ।
কিছু আছে খুব কম ,বছরে হয়ত পরা হয় অথবা কিছু একদম দুই তিন বছরেও পরা হয়ে উঠে না।
এখন যে কাপড় গুলি আমরা বেশি বেশি পরছি সেগুলোর প্রতি যদি একটু মনোযোগ বেশি দেই ।
তাহলে কাপড়ের আলমারিটা অপ্রোজনীয় কাপড় কম থাকবে।
টাকা ,সময় দুইটাই বেঁচে যাবে।  মার্কেটে গেলে হুটহাট করে কিছু কেনার বদঅভ্যাস আমাদের কমে আসবে।
অনেক সময় আমাদের হটাৎ কিছু পছন্দ হলেই নিয়ে নেই কিন্তু বাসায় আসার পর দেখা যায় বছরেও তা ব্যবহার হয় না।

আপনার ফেসবুকে যতগুলো ফ্রেন্ডস আছে, তাদের মধ্যে ২০% ফ্রেন্ডসদের সাথে আপনি ৮০% সময় চ্যাটিং করেন ।
মানে লাইক ,কমেন্ট ,শেয়ার বিভিন্ন ধরণের মনের কথার শেয়ার হয় ২০% মানুষের সাথে।
বাকি ৮০% নীরবেই রয়ে যায়। আমরা যদি ওই ২০% মানুষের প্রতি মনোযোগী হতে পারি তাহলে ভাল কিছু বন্ধু পাব।
জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একজন ভাল বন্ধু অনেক ভূমিকা রাখে।
ফেসবুকে বন্ধুর সংখ্যাত হাজার হাজার থাকে তার মানে এই নয় সবাইকে গুরুত্ত দিতে হবে।

বাস্তব জীবনের ক্ষেত্রেও একেই নীতি অনুসরণ করতে পারি।  আপনার জীবনে যতগুলো বন্ধু আছে, তাদের মধ্যে ২০% বন্ধু এমন,
যাদের সাথে সময় কাটাতে আপনার বেশী ভাল লাগে।
সব থেকে বেশি ভালো লাগে  মনের কথা শেয়ার করতে পারলে ।
বা যারা আপনার যে কোন বিপদে সব সময় তোমার পাশে থাকে।
এই ২০% বন্ধুকেই আপনার ৮০% সময় দেওয়া উচিত।
কিন্তু আমরা কি করি? সব বন্ধু কে সমান গুরুত্ব, সমান সময় দেওয়ার চেষ্টা করি।
যা শুধুমাত্র আমাদের সময় অপচয় ছাড়া কিছুই নয় ।
বুজতে হবে ভাল সম্পর্ক মানে বন্ধুত্ত নয়।
এদের আলাদা করে ভাবতে হবে।

কিন্তু আমরা যদি ৮০% সময় আমাদের ঐ ২০% বন্ধুদের দেই , তাহলে আমাদের অনেক সময় বাচবে,
যে সময়ে আমরা আরো অনেক প্রোডাক্টিভ কিছু করতে পারব ।
আর ঐ ২০% বন্ধুদের ৮০% সময় দেওয়াতে তাদের সাথে বন্ধুত্ব ও আরো বেশি গভির হবে।
কিন্তু আমরা উল্টা করি যারা ভালবাসে তাদের পাত্তা দিতে চাইনা।
বা যাদের সাথে সম্পর্ক ভাল থাকে তাকে গুরুত্ব কম দেই। এই ভেবে যে ,সেতো আছেই পাশে।
যে নেই তাকে পাবার বৃথা চেষ্টা করি।
এতে মানুষিক ,শারীরিক এবং আর্থিক ক্ষতি ছাড়া কিছুই হয় না।

কম শ্রমে অধিক লাভবান

তো মূল কথাটা হলো যেখান থেকে আমাদের জীবনের ইতিবাচক ফলাফল আসছে তাদের খুঁজে বের করা।
অর্থাৎ  যে ২০% থেকে ৮০% রেজাল্ট আসছে তাঁদের খুঁজে বের করে আলাদা রাখতে হবে।
দ্বিতীয় হল ওই ২০% বিষয়গুলিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে বেশি করে তাহলে সবখানে ভাল কিছু করা সম্ভব।

 

Add Comment

Click here to post a comment

ads