আত্মউন্নয়ন অনুশীলন

আজ জীবনের শেষ দিন সূত্র ধরে আত্মউন্নয়ন অনুশীলন প্রথম দিন

জীবনের শেষ দিন

আজকে এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ। আমি প্রতিদিন যতটুকু ভাল চিন্তা করি বাস্তবে খুব কম বাস্তবায়ন করতে পারি।
প্রত্যেকটা মাসে আমার নিজের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেই। নিজের ভিতরে পুষিয়ে রাখা কিছু বদঅভ্যাসকে দূর করতে।
এই যুদ্ধ চলছে আজ তিন বছর থেকে। ভাবছি এই রমজানে ভাল কাজ করার একটা সুজুগ।
তাই নিজেকে নিয়ে ভাবতেছিলাম কি করা যায়।
আর তা হল প্রতিদিন নিজেকে এই বলা যে আজকে আমার জীবনের শেষ দিন।

নিজেকে এই বলা যদি আমি জানতাম যে আজকেই দুনিয়ায় আমার জীবনের শেষ দিন। হাতে মাত্র ২৪ ঘন্টা। তাহলে কোন কোন কাজ গুলো আমি করতাম।
আর কি কি কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতাম ?

আমরা যেকোন সময় মারা যেতে পারি তাই নিজেই নিজের সাথে একদম মিথ্যাচার হলনা। কথাটা কিন্তু একদম সত্যি। আমরা ভুলে যাই।
তাই আমাদের দ্বারা খারাপ কাজ করাতে শয়তান সক্ষম হয়।

যাক এই রমজানে আমার ভাল কাজ করার এইটা একটা সূত্র মাত্র। কয়েকদিন পর রমজান মাস। যদি হেরে যাই তাই ভয়ে আজকেই শুরু করে দিলাম আলহামদুলিল।
যখন আমি কম্পিউটারে বসে লিখি তখন সকাল ৯টা বাজে। এই সময়ের মধ্যে আমার কাজ

১. ফজরের নামাজ

(  সঠিক সময়ে ফজরের নামাজ পড়লে আয় রোজগারে শুধু নয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছ থেকে বরকত আর রহমত পাওয়া যায়। )

২. সকালে রান্না করেছি মুরগী ভুনা ,ডিমের তরকারি গরম ভাত।

( বলা হয়ে থাকে সকালটা যদি ইতিবাচকভাবে শুরু হয় তাহলে দিনটা ভাল যায় এর কারণ হল সারাদিনের মানুষিক আর শারীরিক কষ্টের সাথে নিজেকে ইতিবাচক ভাবে লড়াই করা যায়। )

৩. কোরআন তেলোয়াত করেছি,আলহামদুলিল্লাহ।

( কোরআনের সঠিক নলেজ না থাকলে কোন মানুষের পক্ষে ভাল কিছু করা পসিবল না ,জানতে এবং শিখতে হলে পড়াশুনা দরকার )

৪. সূরা মূলক পড়েছি।

(এই সূরার ফজিলত অনেক বেশী )

৫. ৫০০ বার কালেমা তৈয়াব

(কালেমা মনকে প্রশান্তি দেয় ,শান্তি লাগে ভিতর থেকে )

৬. নফল রোজা রেখেছি

( আজ বৃহস্পতিবার এই দিনে ফেরেস্তারা চলে যায় আমাদের সবার আলাদা আলাদা আমল নিয়ে। তাই আজকের রোজা বরকত অনেক বেশি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় ,নিজের গুনাহের ক্ষমার আশায় আজকে রোজা রাখা উত্তম। )

আমি যা লিখেছি তা হয়ত অনেকের কাছে খুব কমন প্রতিদিনের সাধাৰণ কাজ। কিন্তু আমার কাছে স্বপ্ন। একদম রেগুলার হয় না। আজকে আমি খুব সন্তুষ্ট।
আলহামদুলিল্লাহ উপর ওয়ালা আমাকে আমার নিয়াতকে পরিপূর্ন করার তৌফিক দিয়েছেন। লেখার উদ্দেশ্য একটাই ভাল কাজটাকে করার জন্য বাধ্য করা।
কেউ নিজের খারাপ বলতে লিখতে চাইবে না ,আসলে চায় না।
কিন্তু ভাল কিছু লিখতে হলে ভাল কিছু করতে হবে। সেই চেষ্টা আরকি।

খুব ছোট শব্দ কিন্তু এর গুরুত্ত জীবনে অনেক ইহকাল এবং পরকালের জন্য। যেমন

@ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
@ ক্ষমা করে দেওয়া
@ সত্য বলা
@ বিনয়ী হওয়া

এইসব গুনগুলা একজন মানুষে শুধু মহৎ করে না সাফল্যর চাবিকাঠিও বটে।
এই মাসের নিজের প্রতি একটা যুদ্ধ থাকবে ক্ষমা করে দেওয়া অনুশীলন করা। আজ এই পর্যন্ত।  বাকি সময় কি করব জানি না তবে একদম খাস মনে ভাল কিছু চিন্তা আছে।

নিজের উন্নতি

আত্মউন্নয়ন হলেই সব কিছুর উন্নতি সম্ভব , তা যে ক্ষেত্রেই হোকনা কিছু অভ্যাস নিজের ভিতর পরিবর্তন আনা খুব জরুরী। আর এই চেষ্টা নিজের মধ্যে থাকা উচিৎ। আমি আমার ব্যাক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছি মাত্র।
নিজের উন্নতি মানেই হল একটা পরিবারের উন্নতি ,একটা সমাজ একটা দেশের উন্নতি।

3 Comments

Click here to post a comment

  • Apu sotti apnar kotha gulo just oshadharon…onak valobasha apu,amr hbbyr id theke..
    Apu ami aktu kotha bolte chai khb joruri bisoy,plz cntact er thikana dian apu….

  • ভাল লাগল আপু। সবার ই উচিত আত্মসুদ্ধির মাধ্যমে সমস্ত খারাপ অভ্যাস থেকে নিজেকে বিরত রাখা। অনেক ধন্যবাদ।

ads