প্রথমেই বলি যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয় তাহলে প্রতিদিন বাজার করে, প্রতিদিন রান্না করা ভালো আরো ভালো হয় ফ্রিজ ব্যবহারেই না করা।
তবে বাস্ববতা যে সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা চলছি তাতে করে ফ্রিজ দরকার হয়ে গেছে। যেমন
পরিবার গুলি ভেঙ্গে ছোট হয়ে গেছে তাই একজন মায়ের জন্য বাচ্চা দেখা স্বামী এবং
সংসারের বাকি কাজ করা কঠিন। কারণ বাচ্চা বড় করা সহজ নয় একশটা চোখ লাগে একেই সময়ে।
দ্বিতীয় কারণ বলি ঢাকা শহরে চলা এত সহজ নয়. সহজ নয় প্রাইভেট চাকরী করে সকাল ৯টা টু ৭ টা জব মানেই এই সময়।
একবার অফিসে ঢুকে গেলে বের হওয়া মুশকিল সাথে রাস্তার জ্যামের কথা কারোই অজানা নয়।
এইভাবে প্রিতিদিন বাজার করা একজন কর্তার জন্য হয়ত কঠিন।
যাক আরো কিছু বিষয় আছে। আমি বলছি না সেইসব কথা। আমি আসছি অনেকেই বলেছেন সপ্তাহের মেন্যু প্ল্যান নিয়ে কিছু কথা বলতে।
কিভাবে এই পরিকল্পনা করবেন বা শুরুর দিকের চিন্তা কি হবে আপনার।
আমি আজকে শেয়ার করব একটা ম্যানু প্ল্যান করতে আমাদের শুরুতেই কি কি মাথায় রাখতে হয়।
১. সপ্তাহের মেন্যু প্ল্যান করতে প্রথম চিন্তা
হবে আপনার পরিবারে কি রান্না হয় , সবাই কি খেতে পছন্দ করে।
সেই অনুযায়ী বাজার হবে এবং মাথায় রাখতে হবে বাচ্চা ,বড় বা বয়স্ক যারা আছেন সবাই যেন সঠিকভাবে গুরুত্ত পায়।
২. দ্বিতীয় প্রধান চিন্তা হলো ,
আপনার পরিবারের কর্তার মাসিক আয়। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া কোন যুক্তিতেই ভালো নয় তবুও আমরা খাই কারণে অকারণে
খাই কিন্তু যাই খাই একটু চিন্তা করি কর্তা যা আয় করেন তা খাবারের সাথে কতটুকু সামঞ্জস্য।
৩.মনোযোগ
মেন্যু প্ল্যানে যেন শাক সবজি মাছ মাংস সব কিছুই থাকে সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪.টাইম ম্যানেজমেন্ট
হয়ত এই কথাটা আমার আগেই বলতে হত তা হলো সময় কে সঠিক ভাবে ব্যবহার জানা।
অর্থাৎ টাইম ম্যানেজমেন্ট যদি আমরা না জানি তাহলে এই কাজটা আমার কাছে কঠিন মনে হবে, আসবে বিরক্তি। কিন্তু দুই মিনিটের একটা পূর্ব প্ল্যান এক ঘন্টার কাজ এগিয়ে দেয়। সময়কে কাজে লাগিয়ে অধিক কাজ করা যায়।
৫.সুষ্ঠ বন্ঠন
আপনি যখন দুপুর রাতের পরিকল্পনা করবেন মাথায় রাখতে হবে কি কি রান্না হবে এবং কিভাবে রান্না হবে ?
আমি একটা উদাহরণ দেই তাহলে বুজতে সুবিধা হবে , আমি মুরগি ৬০% রান্না করে দুইভাগে ভাগ করে রেখেছিলাম।
একদিন ভুনা করব নিয়াত করে আরেকদিন সবজি দিয়ে রান্না করব। তো কি কি সবজি থাকবে আমি সেটাও চিন্তা করেছিলাম।
আগামীকাল কি হবে আমরা কেউ বুজতে পারিনা কিন্তু বর্তমানকে আমরা যদি ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাই তাহলে হয়ত কিছুটা নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
Add Comment