জীবনবৃত্ত

বিয়ে থেকে শেখা

বিয়ে থেকে শেখা যায়
বিয়ে থেকে শেখা যায়
বিয়ে থেকে শেখা যায় ? আসলেই যায়, বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে যে দূরদৃষ্টি তৈরী হয় , তা হয় শক্তিশালী।
এই মাসের ৬ তারিখে আমার বিবাহ জীবনের ৭ বছর পূর্ন হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
এই এতগুলা দিনে আমি যা শিখলাম তার মধ্যে আমি সাতটা বিষয় যা সবচেয়ে গুরুত্ব রাখে তা শেয়ার করি।
যদিও অনেকের সাথেই আমার মিলবে না কারণ বিয়ের অভিজ্ঞতা সবার কাছে এক নয়।

১. বিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটা বিষয়।

এর চেয়ে মধুর সম্পর্ক আর কোথায় কারো সাথেই হয় না ( যদি দুজনে সৎ থাকে ) .
এবং বিয়েটা ৩০ এর পর করা নেহাৎ এক বোকামি ছাড়া কিছুই নয় কারণ বয়স ধরে রাখা যায় না,
সাথে আবেগ গুলির পরিবর্তন আসে।

২. বাচ্চা কিছুদিন পরেই নেই ,আমরা আগে জীবনে ইনজয় করি।

সত্যি বলতে মা হবার পরেই আমরা বেশি বিবাহিত জীবনে ইনজয় করছি।
জীবনের দায়িত্ব না নিলে জীবন কখন আনন্দ দেয় না। তার আগের সময়টা নিতান্তই, বাসা থেকে খাবার বানিয়ে ,চাদর বিছিয়ে মরুভূমিতে বসে থাকার মত আনন্দ ছিল কিন্তু যদি তুলনা করি মাতৃত্বের তাহলে বলব সুবজ ঘাসের উপর গাছের নিচে পাশেই জলাভূমি বয়ে যাওয়ার মত পরিবেশে বসে থাকা।
আমার ভুল ছিল বিয়ের পরেই বাচ্চা না নেওয়া।

৩. বাস্তববাদী হওয়া জরুরী

বাঙ্গলী বেশির ভাগ বাবা মাই তাদের সন্তানকে সংসারের নলেজ দেওয়া দরকার মনে করেন না। তাই আমরা আগে তেমন কিছুই শিখি না।
তাই সংসার নামক দায়িত্ত্ব কাঁধে নিতে দুজনেরই সময় লাগতে পারে তাই বাস্তব চিন্তা করে দুজন দুজনকে সময় দেওয়া খুব দরকার।
যদি কোন বিষয় খারাপ লাগে, জাজ করি নিজেকে এর মাঝে নিজের কোন দোষ লুকিয়ে আছে কিনা ?

৪. তুলনা করা

এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউকে দেখে নিজের সহপাঠীকে তুলনা করা এক মারাত্মক আহাম্মকি ছাড়া কিছুই নয়। এখন কোন কিছু এডিট করে ,অভিনয় করে ,মিথ্যা বলে, লক্ষ্য মানুষের হাত তালি পাওয়া এতই সহজ যে কাজটা করতে অনেকেই এক সেকেন্ড ভাবে না। নিজের জীবন নিজের মত করে সাজিয়ে নেওয়া উত্তম।

৫. নিজেই বদলে জান

সুখী দাম্পত্যের একটা মারাত্মক বিষয় তা হলো কখনোই সঙ্গীকে বদলাতে যাবেন না। তার চেয়ে বেটার নিজেই বদলে যান তাহলে বিষয়টা খুব সহজেই ম্যানেজ হয়।

৬.মেয়ে আর বউ , জামাই আর ছেলে অনেক পার্থক্য

এই দুইটা গুলিয়ে ফেলা যাবে না। মানুষ যতই ভালো হোক। যারা যে যায়গায় আছে তাদের যতটুকু সম্মান দেওয়া উচিৎ তাই করা উচিৎ। কিন্তু বেশি আবেগে ঘরজামাই থাকা আর নতুন বউ হয়ে এসেই শশুর শাশুড়িকে নিজের বাবা মা ভাবা ঠিক নয়। , কারণ বেশী ভাবাই বেশী প্রত্যাশা আসে। কি দরকার ?

৭. নিজের মতো চিন্তা করা

পাশের মানুষটাকে নিজের দুনিয়ায় পেয়ে নিজের মত ভেবে নেওয়া ঠিক না। সে একটা আলাদা পরিবার ,আলাদা যায়গা থেকে আসা মানুষ। তাই কিছু দিন অথবা মাস তাকে বুজতে চেষ্টা করেন। সে কেমন ব্যক্তিত্বের মানুষ তাহলে পাশাপাশি হাত ধরে চলা অনেক সহজ হবে।

ads