কখনো কখনো কারো কথা , অথবা কোনো অবস্থা মনটাকে বেশি অস্থির করে তোলে। নিজের চিন্তা ক্ষমতা যেন দুর্বল হয়ে যায়। নিজেকে অনেক বেশি ছোট লাগে। পরিস্থিতি টা এমন থাকে যে কারো সাথে শেয়ার করার মতো নয়। কাঁদবো যে সেই জায়গাও খুঁজেও পাওয়া যায় না। কোথায় যেন এক লজ্জা , কোনো এক ভুলের জন্য নিজের প্রতি ধিক্কার। দুনিয়াতে এত বিষয় থাকতেও , কেন জানি ওই ছোট্ট জায়গায় আটকায় থাকা। পরিস্থিতি যদি এমন হয় , এখান থেকে মুক্তির কিছু উপায় বলি। যেটা আপনার অনুকূলে থাকবে প্রাকটিস করে দেখতে পারেন। ম্যাজিক্যালি কাজ করবে। কিছুতে বিরক্ত হয় আসে না , এমন টি অস্বাভাবিক নয়। আমার সাথে এমনটি ঘটে। আমি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করি নিজে নিজে। যেভাবে বিরক্তি থেকে বের হয়ে আসি তাই আজ শেয়ার করলাম।
১. আমি কি আমার থেকে কেউ ভালো জানে না। তাই আমার বিচার আমি নিজেই করতে পারি। কেউ আমাকে যা বললো তাই আমি হয়ে গেলাম না। এইটা অসম্বব। এই কথাটা মনে মনে বলি।
২. যে বিষয়টা নিয়ে আপনার মন খারাপ অথবা যে ব্যক্তির জন্য মেজাজ খারাপ , তার মানে কি এই নয় যে ওই ব্যক্তি আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
৩. একবার ভাবি নয়, নিজে নিজেকে বলি “আমি এত সস্তা নয় যে ওর মত সংকীর্ণ মনের মানুষ আমার মনটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে” .
৪. সংকীর্ণ মনের মানুষকে গুরুত্ব দেওয়া নিজেকে চরম সংকীর্ণতার পরিচয় দেওয়া। এইসব বিষয় সময় দেওয়া মানে ওই মানুষ টাকে গুরুত্ব দেওয়া। ওই কথাকে গুরুত্ব দেওয়া , বেপারটা কি তাই? যদি তাই সত্যি হয়ে থাকে তাহলে আপনার মন খারাপ থাকবে , আপনি কষ্টে থাকবেন এইটাই স্বাভাবিক, কথাটা মেনে নেন কারণ বাস্তব হচ্ছে অপরিষ্কার মনের মানুষ কখনো ভালো থাকে না , ওরা মানুষের সামনে শুধু অভিনয় আর মিথ্যা এক্সপ্রেস করে। ওদের পিছন অন্ধকার।
৫. আপনি ইতিবাচক মনের মানুষ অথবা নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকলে উপরের কথায় কাজ হয়ে যাবে তারপরেও যদি মনটাকে স্থির করা না যায় তাহলে নিচের থেরাপি করতে পারেন।
৬. আমি একটা music শেয়ার করলাম , ঘরের দরজা বন্ধ করে , গানটা হেডফোন লাগিয়ে আমার লেখা কথাগুলি চিন্তা করেন।
৭. এমন এক মানুষের সাথে কথা বলেন যাকে আপনি পছন্দ করেন . যে মানুষটি আপনাকে বুজতে পারে . ফিল করতে পারে। দরকার নাই কষ্টের কথা শেয়ার করার। শুধু গল্প করেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
৮. কিছু কমেডি অথবা রোমান্টিক অথবা শিক্ষণীয় মুভি দেখা যেতে পারে।
৯. আপনি মজাদার কিছু রান্না করতে পারেন , ঘুরতে যান খুব কাছের বন্ধুটির সাথে, হতে পারে শপিং নিজের পছন্দের কিছু , অথবা ঘরোয়া পার্টি পরিবারের সাথে।
১০. যদি আল্লাহ কে বিশ্বাস করেন তাহলে পাক পবিত্র হয়ে নিরবে , একদম সকল শব্দ দূষণ থেকে দূরে থেকে, তাকে ডাকতে পারেন। এইটা হবে সর্ব শ্রেষ্ঠ উপায়।
ভালো থাকার চেষ্টা করি @ ইতিবাচক চিন্তা করতে শিখি।
Add Comment