সংসারের বাড়তি খরচ এই শব্দ তিনটার সাথে মনে হয় আমরা সবাই খুব পরিচিত। বাড়তি খরচ দেখি কিন্তু মুশকিল কি কন্ট্রোল করা ? সংসারে দুজনেই আয় করছে অথবা একজনেই হয়ত মোটামুটি ভালোই আয় করছেন কিন্তু তবুও মাস শেষে যেন দীর্ঘনিঃশাস। সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চিন্তার যেন কোন শেষ নেই। কিভাবে কি হবে ?
মাসের এতটা দিন কষ্ট করেও কেন স্বচ্ছলতা আসছেই না।
খুব পরিচিত শব্দ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এর কোন সমাধান ব্যক্তি বিশেষে কারোরই একার সমাধান সম্ভব নয়।
যদি পিছনে তাকাই দেখব এইটাই ক্রমানুসারে হয়ে আসছে। কত টকশো ,লিখা লিখি কিন্তু এমন কোন সমাধান হয়নি। দিনের সাথে সাথে দাম বেড়েই যাচ্ছে।
ঢাকা শহরের যান্ত্রিক জীবনে আমাদের প্রত্যেকটা জিনিস কিনে ব্যবহার করতে হয়।
আমার কাছে মনে হয় নিজেই নিজের জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে মনে হয় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া সম্ভব বা বলতে পারেন নিজের সামর্থ্যের মধ্যে জীবন চালিয়ে নেওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। আমি আমার দৃষ্টি কোন থেকে আজকে পাঁচটা পয়েন্ট আলোচনা করব যা আমার কাছে বেশ গুরুত্তপুর্ন মনে হয়েছে।
১.সংসারের খরচ
সংসারের শুকনা বাজার যেমন চাল ,ডাল ,পেঁয়াজ ,রসুন ,তেল আটা এইসব একবারেই করেন। আর কাঁচা বাজার যেমন সবজি ,দুধ ,মাছ,মাংস মাসে ২/৩ বার করলেই যথেষ্ট। অবশ্য পরিবারের জনসংখ্যার উপর তা একবার বাড়তে বা কমতে পারে। এর কিছু সুবিধা আছে ,
তা হলো আপনি একজন গৃহিনী হিসাবে খুব করেই চেষ্টা করবেন,
এই বাজারে মাস চালিয়ে নেবার। কিছু ছোট খাট টিপস নিজের মাথায় অটোমেটিকলি চলে আসবে।
আর বার বার পরিকল্পনা ছাড়া বাজার করার মানেই আপনি বুজতেই পারবেন না কত টাকা খরচ হলো কত খেলাম আর হিসাবেই মিলাতে না পারলে ম্যানেজমেন্ট সম্ভব নয়।
২.প্রয়োজন বনাম চাওয়া
আমাদের মানুষের প্রয়োজনের কোন শেষ নাই ,চাহিদার কোন অবকাশ নাই।
এই প্রয়োজনটা কি আর আমাদের চাওয়া কি এই পার্থক্য বুজতে পারা অনেক জরুরী।
না হলে সমস্যা পিছু ছাড়বে না। প্রয়জোনটা হোক সাধ আর সাধ্যের মধ্যে।
আমার যা আছে তা দিয়েই জীবন চালিয়ে নেওয়াই নিজের জীবনের ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য।
লোক দেখানো কোন কাজেই আপনাকে তৃপ্তি এনে দিবে না ,এই চিন্তা শুধুই ভিতরে হাহাকার তৈরিতে সাহায্য করে।
৩.টাকা জমানো
আপনার ইনকাম যতই হোক এর থেকে ৫% জমা রাখতে হবে। আর এই জমানোর উদ্দেশ্য হোক ইতিবাচক যেমন আপনি একটা মনের মত বাড়ি করবেন ,হজ্জে যাবেন , স্বামী স্ত্রী বছর শেষে ট্যুরে যাবেন। এর কিছু উপকারিতা আমি বলি।
আপনার ভিতরে আত্মবিশ্বাস তৈরী করবে ,কত কারণেই আমরা নিরাশ হই ,
হতাশ হই অবান্তর চিন্তা আমাদের ঘিরে ধরে এই সব থেকে আপনাকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।
দ্বিতীয় কারণ হল যে স্বপ্নে আপনি টাকা জমাবেন তা আপনাকে মানুষিক ভাবে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
স্বপ্ন মানুষকে সুন্দর করে বাঁচতে সাহায্য করে। তাই স্বপ্ন দেখতে একদম কিপ্টামি করবেন না। তৃতীয় যে উপকার তা হলো ,
স্বপ্ন যত বড় হবে আপনি টাকা রোজকার করতে ঠিক তত বেশি সেলফ মোটিভেটেড হবেন।
৪.নিজের প্রতি বিশ্বাস
বিশ্বাসের এক বিশাল শক্তি আছে যা চোঁখে দেখা যায় না কিন্তু আপনি অনুভব করতে পারবেন। মনে মনে দৃঢ় বিশ্বাস করেন খাবার বা রিজিক দেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
উপর ওয়ালা মুসলিম ,হিন্দু ,ক্রিষ্টান মুনাফিক ,নাস্তিক,পশু পাখী সবার খাবার দেন আমাকে আপনাকেও দিবেন এই বিশ্বাস করেন।
এই বিশ্বাস মনে রেখে রিজিকের সন্ধানে প্রতিদিন ঘর থেকে বের হবেন , প্রতিদিন নিজের স্কিলের উন্নতির দিকে নজর দেন।
নিজের দক্ষতা চেষ্টা ,শ্রম ,কখনো আপনাকে ঠকাবে না। নিজের ভাবনা গুলির সামান্য পরিবর্তন খুব জরুরী।
আমার কিছু নাই ,অনেক অভাব এই কথা না ভেবে ভাবতে হবে আমি কি পারি ? কাজের জন্য আমার কি দক্ষতা দরকার ? সেগুলো নিজে নিজে প্রতিদিন চেষ্টা করতে হবে রপ্ত করতে। কাজ জানা থাকলে আপনি এর প্রয়োগ করার সুজুগ নিজেই খুঁজে পাবেন।
৫. অপচয় /অপব্যায়।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জেনে বুজে অথবা না বুজে অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে যেমন পোশাকে ,খাবারে ,চাওয়ায় বা ইচ্ছায় ,শখে অপচয় করি। এইদিকে সামান্য খেয়াল রাখতে হবে। বুজতে হবে পার্থক্য যেন অপচয় রোধ করতে আবার কিপ্টামি না হয়ে যায়।
কিপ্টামি আপনার মনকে ছোট করে দিবে কিন্তু হিসেব করে জীবন চালানো শিখতে পারলে আপনাকে স্বস্তি দিবে।
Add Comment