পরিবারের বড়সন্তানের
কাঁধে দায়িত্ব দেওয়া হয় সেই শিশু কাল থেকেই।
ভাইবোনের মধ্যে বয়সের পার্থক্য গড়ে ৩/৪ বছর হয়। যখন তার মায়ের বুকে জড়িয়ে থাকার কথা,
সেই ছোট্ট বাচ্চা দিনের পর দিন দেখে মার কোলে সারাক্ষণ আরেকজন খেলছে,
বাবা বাইরে থেকে ঘরে ফিরে যখন বড়কে জড়িয়ে ধরার কথা,
সেখানে সে দেখে দরজা খুলেই বাবু বলে ছোট্টকে ডাকা।
সে নিরবে কাঁদে
যখন তার নিজের দুনিয়া বলতে মা বাবা ছাড়া কিছুই চেনে না ঠিক সেই বয়স থেকে তাকে শুনতে হয় তুমি বড় না।
কাদলেও তাকে কথা শোনা লাগে, মায়ের কাজের সময় তাকে দেখে রাখার দায়িত্ব এসে পড়ে তার দিকে। তখন তার নিজেরেই খেলাধুলা নিয়ে থাকার কথা,
সে নিজেই শিশু কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে শিখে যায়। কাজ শেষ করে মায়েরা সেই ছোট্ট শিশুকেই কোলে তুলে নেয়।
কাদলেও তাকে কথা শোনা লাগে, মায়ের কাজের সময় তাকে দেখে রাখার দায়িত্ব এসে পড়ে তার দিকে। তখন তার নিজেরেই খেলাধুলা নিয়ে থাকার কথা,
সে নিজেই শিশু কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে শিখে যায়। কাজ শেষ করে মায়েরা সেই ছোট্ট শিশুকেই কোলে তুলে নেয়।
সে নিরবে কাঁদে
মধ্যবিত্ত পরিবারে
শুরুর দিক বাবা মায়ের স্ট্রাগল দেখে বড় হয় বড়সন্তান।
সেক্রিফাইজ করে খাবারে, পোশাকে, শিক্ষায় ভালবাসাতেও। ছোট্টরা যখন আসে সচ্ছলতায় ভরা সংসারে, তখনও ভালো কিছু দেওয়া হয় ছোট্ট সন্তানকেই,
বড়কে শুনতে হয় তুমি বড় না।
সেক্রিফাইজ করে খাবারে, পোশাকে, শিক্ষায় ভালবাসাতেও। ছোট্টরা যখন আসে সচ্ছলতায় ভরা সংসারে, তখনও ভালো কিছু দেওয়া হয় ছোট্ট সন্তানকেই,
বড়কে শুনতে হয় তুমি বড় না।
সে নিরবে কাঁদে
বাস্তবতা
বাবা চলে যায় সংসারে সকল দায়িত্ব পালনের ভার আসে বড়সন্তানের উপর।
নিজের ক্যারিয়ার, ভালোভাবা সবকিছুই ছেড়ে সে সবার পাশে দাঁড়ায়, ছোট্টদের আবদারে শুনতে হয় তুমি বড় না।
ক্লান্ত শরীর আর ভারাক্রান্ত মনে
নিজের ক্যারিয়ার, ভালোভাবা সবকিছুই ছেড়ে সে সবার পাশে দাঁড়ায়, ছোট্টদের আবদারে শুনতে হয় তুমি বড় না।
ক্লান্ত শরীর আর ভারাক্রান্ত মনে
সে নিরবে কাঁদে
মায়ের চোঁখ
সম্পদের ভাগ হয় ছোট্ট সন্তান মায়ের কাছে তখনও সেই ছোট্টই থেকে যায়, সকল ভালো কিছু যায় তার দিকে।
জীবনের কম অবিজ্ঞতা, বাইরের জগৎ সম্পর্কে কম জানা, বাস্তবতা থেকে দূরে থাকা সেই বড় সন্তান আজও ভালবাসার পাত্র হতে না পারায়
জীবনের কম অবিজ্ঞতা, বাইরের জগৎ সম্পর্কে কম জানা, বাস্তবতা থেকে দূরে থাকা সেই বড় সন্তান আজও ভালবাসার পাত্র হতে না পারায়
সে নিরবে কাঁদে
নিয়তি
বয়সের ভার আর দায়িত্বের ওজন বহন করতে করতে যখন শরীরের শক্তি কমে আসে, চোখে কম দেখে, তখনও মায়ের কাছে, ছোট্টদের কাছে শুনতে হয় বড় হয়ে কি দায়িত্ব পালন করেছে সে?
আজ আর বড় সন্তান নিরবে কাঁদে না শুধু ভাবে বাবা মায়ের এই উঁচুনিচু চোখে দেখা সন্তানের প্রতি কতটা কষ্ট আর বুকে ভারি হয় তা যদি বুজত তারা।
আমি দেখেছি বড়সন্তান হয় খুব বোকাসোকা ভালো মানুষ অথবা চরম লেবেল এর স্বার্থপর হয়। পরিবারের এই নির্মম আচরণ বড় সন্তানের মানুষিকতা এমন তৈরিতে সাহায্য করে।
কৃতজ্ঞতাবোধ
পরিবারের বড়সন্তানেরা খারাপ হোক বা ভালো সম্মানিত হবার যোগ্য তারা। সেই শিশু কালের সাদা মনের ভালবাসার দাম ছোট্টরা কোনদিন দিতে পারবে না। যৌবনে ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়, বাবা মায়ের শাসনে বা হুকুমে তখনও বড়রা ছোট্টদের জন্য যা করে তার দাম তারা দিতে পারবে না।
এই দুনিয়ায় মানুষ এক নির্মম বাস্তবতা নিজেরাই তৈরি করে নিয়েছে, যারা দেয় তার কাছে সকল প্রজাতির প্রাণী শুধু আশাই করে।
যারা পায় বেশি, তারা শুধু প্রত্যাশাই করে আরও পাবার, নিজেরা কখনোই দেবার কথা ভাবতেই পারে না।
Add Comment