মিনিমাল জীবন Minimalist life যাপনের আসল উদ্দেশ্য হল নিজেকে বার বার প্রশ্ন করা। প্রত্যেকটা কাজ করার আগে প্রশ্ন করা। আসলে এই কাজ আমার জীবনে আদৌ কোন উপকার আছে কিনা ?
মিনিমাল জীবনযাপনের উপকারিতা ::
এইটা একটা চিন্তা পদ্ধতি, যা হতে অনেক কিছুই বাদ দিতে হবে ,হয়ত অনেক কষ্ট হবে প্রথম কিন্তু হিসাবের খাতা যখন কমে আসবে জীবনে ততই স্বাধীন অনুভব করা যাবে ।
জীবনের স্বাদ গ্রহণ করা , জীবনকে ইতিবাচক ভাবে উপভোগ করার মজা পাওয়া যাবে।
এই দুনিয়ায় ভাল থাকা যাবে সাথে পরকালের হিসাবও কম থাকবে।
বর্তমানের জন্য মিনিমালিজম জীবন বেঁচে নেওয়া উত্তম সময়।
কারণ এই একটা গ্যাজেট ফোন আমাদের অনেকটা সময় কেড়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এর-ওর জীবন দেখে নিজের সাথে তুলনা করে আমরা অস্থির হয়ে পড়ছি।
শুধু তাই নয় হতাশার মত ভয়াবহ রোগ আমাদের ভিতরে দানা বাঁধছে।
আমরা এখন এক্সেসে বা অতিরিক্ত কিছুতে অভ্যাস্ত হয়ে গেছি যে কাউকে সাধারণভাবে চলতে দেখলে ব্যাক্তিগত ভাবে এমন কি সামাজিক ভাবেও অপমান করি।
এখন বিয়েতে অতিরিক্ত খরচ , অতিরিক্ত আড়ম্বর করা একদম গরিব থেকে বড়লোক পর্যন্ত কমন দৃশ্য ।
যখন একটা কাজ সংখ্যালঘু মানুষ করতে থাকে তখন বিষয়টা অনেক স্বাভাবিক হয়ে যায়।
একবার ভেবে দেখেন ,যে টাকা এতে খরচ হয় তা যদি বিয়ের পরবর্তীতে খরচ করার জন্য নব দম্পত্তিকে দেওয়া যায় , এইটা কি ভাল নয়?
লোকদেখানো কিছু কাজ যা অনেক সময় আমরা সামর্থ্য না থাকলেও করি , যোগ্যতা না থাকলেও আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগুতে চাই।
এই বিষয়গুলা আমাদের এক সময় নিজের মনের ভিতর বিরক্তি ,রাগ,ক্ষোভ ,হতাশার সৃষ্টি করে।
মিনিমালিজম অর্থাৎ নূন্যতম জিনিস নিয়ে জীবন যাপন করার অনেক ভাল দিক আছে।
আমার কাছে যেগুলো খুব বেশি উপকারী মনে হয়েছে তাই নিচে উল্লেখ করলাম।
খরচ কম :
আমি জানি বর্তমান সময়ে আমরা কিছু নয় অনেক বেশি টাকা খরচ করি লোক-লজ্জার ভয়ে।
আমি যদি একেই জামা প্রতিদিন ব্যবহার করি তাহলে অনেকেই আমাকে অবজ্ঞার চোখে দেখবে।
কিন্তু এইটা আমাকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করবে। এখানে আমি শুধু একটা উদাহরণ দিলাম মাত্র ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আরও অনেক ক্ষেত্রেই খরচ বাঁচাবে। অপব্যয় কোন যুক্তিতেই ভালো কিছু বয়ে আনে না।
অতিরিক্ত চাপ কমাবে ::
একটা বাড়ী যখন ফার্নিচার ভর্তি থাকে আমাদের চলাফেরা , হাঁটাচলা অনেক অসুবিধা হয়।
আমাদের সংসারে ঠিক যতটুকু প্রয়জন তার বেশি না ক্রয় করলে আমরা অনেকটাই চাপ মুক্ত থাকি।
ঠিক একেই ভাবে আমাদের মনকেও রাখতে হবে চাপ মুক্ত।
অতিরিক্ত বন্ধু , সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় দেওয়া আমাদের অস্থিরতা বাড়ায়।
তাই শরীর আর মনকে যদি চাপ মুক্ত রাখতে চাই তাহলে এর মিনিমাল জীবনের বিকল্প নেই।
পরিষ্কার রাখা অনেক সহজ :
ঘর ভর্তি শুধু ফার্নিচার আনা অনেক সহজ।
কিন্তু এইগুলা মেইনটেইন করা সহজ বিষয় নয়।
ঘরের যিনি গৃহিনী আছেন উনি এই বিষয়টা ভাল জানেন।
তাই যত কম ফার্নিচার পরিপাটি রাখা ততই সহজ হবে।
সম্পর্ক গুলোকে যত্ন করা :
আমারা ঘরের কাজে অথবা দৈনন্দিন কাজে এতো বেশি ব্যস্ত থাকি যে অনেক সময় সম্পর্ক গুলোকে যত্ন করতেই ভুলে যাই।
আমার মনে হয় আমরা যত বেশি চাপ মুক্ত থাকব ঘরের মানুষের প্রতি মনোযোগ ততই বাড়বে।
সহজে জিনিস খুঁজে পাওয়া :
ঘরের প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের আয়ত্তে থাকা উচিৎ।
কিন্ত বছরের পর বছর আমরা টুকি টাকি জিনিস কিনতে থাকি।
আর ভুলেই যাই একেই জিনিস অনেক সময় পুনরাবৃত্তি হয়ে যায়।
আবার অতিরিক্ত জিনিসের ভিড়ে প্রয়জনীয় কিছু খুঁজে পাই না।
তখন আবার ক্রয় করি। ঘরে কম জিনিস থাকলে আমরা সহজে খুঁজে পাবো।
Add Comment