মিনিমালিজম কি ?
মিনিমালিজম হল জীবন থেকে অতিরিক্ত বা বাহুল্য সব কিছু কমিয়ে ফেলা।
এবং ঠিক যেইটা লাগবে, সেইটা নিয়ে থাকা।
খুব কম জিনিস নিয়ে জীবনযাপন করা।
এইটা শুধু কাপড় বা ঘরের আসবাবপত্রের জন্য প্রযোজ্য নয়।
আমাদের জীবনে সময়টাকে যে সব ক্ষেত্রেই আমরা ব্যবহার করি সব কিছুর জন্যই প্রযোজ্য যেমন বন্ধু বান্ধব ,খাওয়া -দাওয়া,কাজ-কর্ম ,চিন্তা-চেতনা ইত্যাদি।
মিনিমাল লিভিং এর প্রধান ধারণাই হল আমার জীবনের ইচ্ছা গুলিকে বা শখ গুলিকে কমিয়ে এনে আমাদের মনকে নির্দিষ্ট এক দুইটা কাজে ফোকাস করতে সাহায্য করা।
আর এই এক দুইটা কাজের ধরণ হল জীবনের আত্মিক ,মানুষিক বা শারীরিক উন্নয়ণের প্রয়াজনে জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
মিনিমালিজম লাইফ ::
Minimalism Life লিখে যদি আপনি গুগলে সার্চ করেন তাহলে দেখা যায় খুব সুন্দর গুছানো পরিপাটি ঘর এর ছবি।
একটা খাট একটা টেবিল , পাশে একটা ফুলের টব।
রান্না ঘরে মাত্র কয়েকটা ক্রোকারিজ।
কাপড়ের আলমারিতে হাতে গোনা কয়েকটা কাপড়।
সব কিছু ঝকঝকে পরিপাটি।
আসলে এই মিনিমালিজম জীবন মানে আরো অনেক কিছু জীবন থেকে পরিপাটি করা।
যেমন আমার ফেসবুকে বন্ধুদের সংখ্যা ৩ হাজার প্লাস সঠিক মানুষ গুলোকে চিনে নেওয়া বাকী গুলোকে ডিলিট করে দেওয়া।
ছেড়ে চলে যাওয়া খুব কাছের বন্ধুর প্রোফাইল লক করে রাখা।
প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দিয়ে এখানে সেখানে লাইক কমেন্ট করা বন্ধ করতে হবে।
আমি যা পছন্দ করি বা আমার জীবন উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন আছে এমন কিছু সাইট প্রতিদিন দেখা।
এতে করে অস্তিরতা কমবে।
হাতের এন্ড্রয়েড ফোন অপ্রোজনীও সব এপস দিয়ে ভর্তি।
নিজেকে প্রশ্ন করা ,আসলেই এগুলো আমার কোন কাজে লাগে।
না শুধুই ইন্সটল করেছি। যদি উপকারেই না আসে তাহলে আনস্টল করে দেওয়া।
এইভাবে আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই এই মিনিমালিজম জীবন যাপন করাই হল Minimalist Living .
মিনিমালিজম জীবনযাপনের উপকারিতা ::
এইটা একটা চিন্তা পদ্ধতি, যেইটা হতে অনেক কিছুই বাদ দিতে হবে ,হয়ত অনেক কষ্ট হবে প্রথম কিন্তু হিসাবের খাতা যখন কমে আসবে জীবনে ততই স্বাধীন অনুভব করা যাবে ।
জীবনের স্বাদ গ্রহণ করা , জীবনকে ইতিবাচক ভাবে উপভোগ করার মজা পাওয়া যাবে।
এই দুনিয়ায় ভাল থাকা যাবে সাথে পরকালের হিসাবও কম থাকবে।
বর্তমানের জন্য মিনিমালিজম জীবন বেঁচে নেওয়া উত্তম সময়।
কারণ এই একটা গ্যাজেট ফোন আমাদের অনেকটা সময় কেড়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এর-ওর জীবন দেখে নিজের সাথে তুলনা করে আমরা অস্থির হয়ে পড়ছি।
শুধু তাই নয় হতাশার মত ভয়াবহ রোগ আমাদের ভিতরে দানা বাঁধছে।
আমরা এখন এক্সেস বা অতিরিক্ত কিছুতে অভ্যাস্ত হয়ে গেছি যে কাউকে সাধারণভাবে চলতে দেখলে ব্যাক্তিগত ভাবে এমন কি সামাজিক ভাবেও অপমান করি।
এখন বিয়েতে অতিরিক্ত খরচ , অতিরিক্ত আড়ম্বর করা একদম গরিব থেকে বড়লোক পর্যন্ত কমন দৃশ্য ।
যখন একটা কাজ সংখ্যালঘু মানুষ করতে থাকে তখন বিষয়টা অনেক স্বাভাবিক হয়ে যায়।
একবার ভেবে দেখেন ,যে টাকা এতে খরচ হয় তা যদি বিয়ের পরবর্তীতে খরচ করার জন্য নব দম্পত্তিকে দেওয়া যায় , এইটা কি ভাল নয়?
লোকদেখানো কিছু কাজ যা অনেক সময় আমরা সামর্থ্য না থাকলেও করি , যোগ্যতা না থাকলেও আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগুতে চাই।
এই বিষয়গুলা আমাদের এক সময় নিজের মনের ভিতর বিরক্তি ,রাগ,ক্ষোভ ,হতাশার সৃষ্টি করে।
মিনিমালিজম অর্থাৎ নূন্যতম জিনিস নিয়ে জীবন যাপন করার অনেক ভাল দিক আছে।
আমার কাছে যেগুলো খুব বেশি উপকারী মনে হয়েছে তাই নিচে উল্লেখ করলাম।
আপনি যখন ‘মিনিমালিজম’ বলছেন এর অর্থ অতি সাধারণ ভাবে যাপিত জীবন/লাইফস্টাইল । অর্থাৎ এর সাথে অলরেডি জীবন আছে। মিনিমালিজম এর সাথে লাইফ বললে বাহুল্য দোষে দুষ্ট হচ্ছে। লাইফ বলতেই চাইলে ‘মিনিমাল’ লাইফ বলতে বলতে পারেন, যেটা বেশীর ভাগ জায়গায়ই করেছেন। আমি একজন কন্টেন্ট রাইটার। ভুল শুধরে দিলাম, আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
অনেক ধন্যবাদ সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম