বেডরুম সাজানোর আইডিয়া
ঘর সাজানো আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি কখনই কোন কিছুর জন্য কোন কিছু থমকে রাখি না , যা আছে তার মধ্যে কিভাবে গুছিয়ে নেওয়া যায় চেষ্টা করি কারণ আমাদের চাহিদার শেষ নাই ,যদি ভেবেই নেই আমার এইটা নাই সেইটা নাই ,কিভাবে ঘর গুছাবো ,তাহলে একেই সাথে অনেক সমস্যার তৈরী হয় প্রথমত নিজেকে ছোট মনে হয় , না পাবার এক যন্ত্রণা অভাব অভিযোগ লেগেই থাকে।
আমি আমার বেডরুম সাজিয়েছি ৬টা বিষয় মাথায় রেখে। যা আমরা রুচির সাথে এবং ভালোলাগার সাথে ওতঃপ্রোত জড়িত। যদি ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু রাখা হয় সেই ঘর কখনো গুছানো থাকবে না কারণ সেই কাজ করতে আমাদের কষ্ট হয়। ভালোবাসার কাজে কষ্ট কম।
ফার্নিচার :
ঘরে যেসব ফার্নিচার ব্যবহার করা হয়েছে তা খুব বেশী দামি বা হাবিজাবি কিছু নয়। অনেক দামি মানেই তা সুন্দর হবে তা আমি বিশ্বাস করিনা। যতটা সম্ভব কম ফার্নিচার আপনাকে বাড়তি সুবিধা সহ মানুষিক প্রশান্তি দিবে। তাই যা না হলেই কোন বড় ধরণের সমস্যা নাই তাই রাখিনি।
গাছ রাখা :
সামান্য সবুজের ছোয়া আমাকে ভীষণ রকম মানুষিক শান্তি দেয়। শোবার ঘর শুধুমাত্র ঘুমানোর জন্য নয় পরবর্তী কাজের জন্য এনার্জি গ্রো করে তাই ঘর দেখেও যেন ভালো লাগা কাজ করে তাই কিছু ইন্ডোর প্ল্যান্ট রেখেছি যেমন মানি প্ল্যান্ট ,জিজি প্ল্যান্ট ,স্পাইডার প্ল্যান্ট। এই গাছ গুলো সামান্য আলোতেই ভালো থাকে , মেইনটেইন করাও সহজ।
সাজানোর শোপিস :
ঘরে সাজানোর শোপিচের বিষয়টাও নিজের রুচির সাথে সামর্থ্যের বিষয়টা থাকে। সামর্থ্য থাকলে যদি রুচি না থাকে তাহলে ঘর একদিন গোডাউন হয়ে যাবে। আমি ঘরে তেমন কোন শোপিচ রাখিনি কারণ বেডরুম ছোট একটা কারণ
দ্বিতীয় কারণ আসলে আর্টিফিশিয়াল কিছু আমার খুব বেশি একটা ভালো লাগে না।
তিন নাম্বার কারণ হল ঘরটাকে ফাঁকা রাখা।
আয়না :
আয়না শুধুমাত্র মুখ দেখার জন্যই নয় ঘরে রাখলে একটা আলাদা সুন্দর লাগে , ঘর বড় লাগে। আমি চেষ্টা করেছি আয়নাও যেন থাকে আবার যায়গাও যেন নষ্ট না হয় এই জন্য ওয়ালে সেট নিয়েছে বেতের তৈরী একটা আয়না। বেড : আমার রাজকীয় কাজ করা ফার্নিচার একদম ভালো লাগে না। এইসব আমার কাছে ভীষণ ভারী লাগে। তাছাড়া অতিরিক্ত কাজ করা খাট পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা সহজ নয়। বাড়তি সময় দিতে হয়। তাই মিনিমাল খাট নিজে পছন্দের মত অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নিয়েছি।
বই :
জীবনের যেকোন অবস্থায় বই পড়া উচিৎ এইটা যেমন নিজের একটা ভালো সময় কাটাতে সাহায্য করে ঠিক আসলে আমাদের জানতে হয় বুজতে হয় জীবনের মোড় কখন কিভাবে থাকে তা মোকাবেলা করতে। এর জন্য বইয়ের কোন বিকল্প নেই। আর বই সামনে থাকলে ব্রেইন আমাদের মনে করিয়ে দিবে আজকে অতি সামান্য হলেও পড়তে হবে। তাই নিজের পছন্দের বই রাখি সবসময়।
ওয়ালমেট :
লাগাতেই হবে বা কোন কাজ করতেই হবে জন্য আমি কিছু করি না। তার একটা উদ্দেশ্য থাকতে হবে আমার কাছে। হয় আবেগ না হয় বাস্তব সম্মত কোন কারণ। এই উদ্দেশ্যে একটা ওয়ালমেট ধরণের দেয়ালে লাগিয়েছি যা ইতিবাচক একটা ভাইব দিতে সাহায্য করে সবসময়।
পাপোশ :
একটা সুন্দর পাপোশ ঘরের উজ্জ্বলতা বাড়াবে সাথে বিছানাকে কিছুটা হলেও রক্ষা করে ময়লা থেকে। একটা সুন্দর পাপোশের স্পর্শ আমাকে সুন্দর অনুভূতি দেয় তাই আমি শতরঞ্জির একটা কালারফুল পাপোশ ব্যবহার করেছি। আমি আমার ব্যক্তিগত রুচির সাথে মিল রেখেছি এবং সেইভাবেই আমার ঘর আমি সাজিয়েছি।
সে বিষয় মাথায় রেখেছি তা হলো এমন কিছু না রাখা যা আমার দরকার নেই বা মেইনটেইন করা কঠিন হয় কারণ ঢাকা শহর প্রচুর ধুলাবালি ,ঘর পরিষ্কার করতে অনেকটা সময় প্রতিদিন দিতে হয়।
Add Comment