জীবনবৃত্ত

বরকত কি ? বরকত অর্জনের উপায় কি

বরকত কি
বরকত কি

বরকত কি ?

বরকত শব্দের অর্থ হল আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছ থেকে কল্যাণ বেশী হওয়া। রহমত বেশী থাকা।
আমি এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা জীবনে অনেক অর্থ সম্পদ করেছেন কিন্তু একটা সময় এসে নিজেই হতাশায় ভুগছেন , সন্তান মানুষ হয়নি। স্ত্রীও সম্মান দেয়না।
তারমানে এই জীবনে বরকত অর্জন করতে পারেন নাই।

আমার এমন একজনকে দেখেছি শুধুমাত্র থাকার ঘর ছিল বাবা গরিব।
গ্রামের মক্তব পড়াতেন। বেতন বলতে সেই সপ্তাহে মুটির চাল আর যে যত পারে খুশি মনে যা দেয়। সম্মানের সাথে মারা যায়।
সন্তান আজ কলেজের প্রফেসার। তার মানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছ থেকে বরকত বেশী পেয়েছেন।

বরকত জীবনের সকল ক্ষেত্রে দরকার। অধিক সন্তানের চেয়ে বরকতময় সন্তান দরকার। অধিক সম্পদের চেয়ে বরকত ময় সম্পদ দরকার হবে। খুব ছোটখাট বিজনেসে বা চাকরিতেই সংসার ,সন্তান মানুষ হবে। নিজে মানুষিক শান্তিতে থাকাও বরকত। সুস্থ জীবন যাপন করাও বরকত।

জীবনে বরকত অর্জনের দশ উপায়

১. ঈমান ও তাকওয়া ( আল্লাহর ভয়ে যেকোন হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা )
২. যেকোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা
৩. কোরআনের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ানো
নিয়মিত কোরআন পড়া , অর্থ বুজা ,সেই অনুযায়ী আমল করা , জীবনের সকল বিপদ আপদের সময় এর কারণ বা অর্থ খুঁজে বের করা ,কোরআন থেকে কারণ এই বই আমাদের জীবনের পথ প্রদর্শক।
৪. দান করা
৫. রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়ের সাথে সুসম্পর্ক রাখা

৬. সকাল বেলা কাজ শুরু করা
আপনি এমন কাজ হয়ত করছেন যার জন্য সকালে উঠার দরকার নাই তবুও সকালে উঠে সেই কাজের প্রুস্তুতি নেন কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকালে যারা কাজ শুরু করে দেন সেই কাজের বরকত দেন দ্বিগুন করে।

৭. নিজে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া এবং পরিবারের অন্যান্যদের নামাজের জন্য তাগিদ দেওয়া

৮. আল্লাহর উপর ভরসা করা
জীবনে ঘটনা যাই ঘটুক আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের উপর ভরসা রাখতে হবে কারণ উনি জেনে শুনে বুজেই আমাদের উপর দুঃখ ,দুর্দশা ,আনন্দ খুশি দিয়ে থাকন।
তাই এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে যে উথান পথন ঘটুক না কেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে ভুলে যাওয়া যাবে না ।
ভুল করেও দুনিয়ার কারো উপর নির্ভশীল হওয়া যাবে না। কুফরী থেকে দূরে থাকতে হবে।

৯. ইস্তেগফার করা
যতটা সম্ভব আজতাগফিরুল্লাহ পড়া। নিয়মিত পড়া ,সবসময় পড়া। নিজের ভুলের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে মাফ চাওয়া।

১০. পরিপূর্ন সালাম দেওয়া
আস্সালামুলাইকুক ওহা রাহমাতুল্লাহ ওবারাকাতুহ
এইটা হলো কারো জন্য দোয়া করা। আমরা যখন কাউকে পরিপূর্ন সালাম দেই তারমানে হলো তাকে দোয়া করলাম।
আমরা মানুষকে দোয়া করলে ফেরেস্তারা আমাদের জন্য দোয়া করেন

ads