ফেসবুক ব্যাবহারের উপকারিতা কথা শুনেই হয়তো আপনারা একটু নড়েচড়ে বসবেন। কারন আমাদের মাঝে অনেকের এর খারাপ দিক গুলি সম্পর্কে
অনেক বেশি জ্ঞান। আমিও বলবো এর অপকারিতা সম্পর্কে। তার আগে কিছু কথা বলি।
আপনার আমার একার পক্ষে কোনোদিন ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া অথবা আমাদের দেশ থেকে , ফেসবুক লগইন করা বন্ধ কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
তাই কিভাবে এর ব্যাবহার ইতিবাচক দিকে কনভার্ট করতে পারি তাই বলবো।
প্রত্যেক জিনিসের খারাপ এবং ভালো দিক আছে। আপনি কিংবা আমি সেই একেই জিনিস কিভাবে নিবো অথবা বলতে পারেন কিভাবে ব্যাবহার করবো ,
কতটুকু সময় দেবেন তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে নিজের রুচি এবং ব্যাক্তিত্বের উপর।
ফেসবুকের ইতিবাচক দিক
কিছু ছবি , কিছু মুখ , কিছু কথা , বিষয় জানলেই কিংবা দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। আর এই মনটা ভালো করার সবছে বড় মাধ্যম হলো ফেসবুক।
কিভাবে ?
প্রানের বন্ধু কথা নেই অনেক দিন , দেখা নেই , সেতো বছর পেরিয়ে গেলো। থাকে বহুদূর।ফেসবুকে আসলে একবার ঢু মেরে আসেন তার প্রোফাইলে ,
দেখবেন কত ছবি আপলোড করে রাখছে।পুরাতন স্ট্যাটাস গুলি পরেন , মনে হবে কথা বলছেন তার সাথে।
কিছু ভালো , অভিজ্ঞ , মোটিভেশনাল স্পিকার ফলো করেন।এমন অনেকেই আছেন যারা অনেক ব্যস্ত, পরিশ্রমী, জীবনে একজন সফল ব্যাক্তি। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন সময় করে লিখে যায় ,
নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
ওনাদের প্রোফাইল কখনো প্রাইভেট থাকে না , বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। তাই খুব সহজেই ওনাদের লেখা পড়া যায়। কেন পড়বো ওনাদের লেখা?
ভালো কিছু জানলে , সঠিক তত্ত্ব জানলে , জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।
প্রত্যেকটা মানুষের একটা না একটা বিষয়ের প্রতি দুর্বলতা আছে। আপনার যে বিষয় ভালো লাগে , তেমন একজন ব্যাক্তিকে যে ইতি মধ্যে ওই বিষয়ে সফল ,
উনাকে খুঁজে বের করেন , এবং ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে অথবা পার্সোনাল প্রোফাইল ফলো করেন।
এখন আমরা সবাই ব্যস্ত নিজেদের কাজ নিয়ে। কিন্তু এই ব্যস্ততার মাঝেও ,কিছু মানুষ কে সময় দিতে হয় ।
যেকোনো কাজ টীম ওয়ার্ক করলে ফলাফল ভালো হয়।
তবে শুধু টিমের প্রত্যেকটা মেম্বারকে প্যাশন ,কাজের ফোকাস যেকোনো একটা বিষয়ে হতে হয়।
তাহলে এক্ষেত্রে ফেসবুক অশাধারন কাজ করে। যেমন আমরা পাঁচজন বন্ধু , একসাথে ব্যবসা করবো ভাবছি , অথবা চাকরির জন্য পড়াশুনা করছি অথবা
একেই ভার্সিটি তে একেই বিষয়ে পড়াশুনা করি।
দেখা করা সময় সময়ের ব্যাপার। তখন ফেসবুকে একটা গ্রূপ খোলা যেতে পারে। নানা বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা করা যায় নিজেদের মধ্যে।
আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন তাহলে ফেসবুক হতেপারে এক বিশাল প্লাটফর্ম মার্কেটিং এর জন্য। নিজের কাজ সম্পর্কে লিখলেন।
স্ট্যাটাস দিলেন প্রতিদিন , এইভাবে নিজের ব্র্যান্ড সম্পর্কে প্রচার করা যায়।
প্রোডাক্ট সম্পর্কে বন্ধুদের জানালেন। যাদের ভালো লাগবে ,ওরা আবার শেয়ার করবে। এইভাবে একটু একটু করে বাড়বে আপনার বিক্রি।
ফেসবুক ব্যবহারের অপকারিতার জরিপ
১৯ বছর বয়সী একজন ব্রিটিশ তরুণ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন একটা নিখুঁত সেলফি তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে।
তিনি ১০ ঘণ্টা ধরে ২০০ বার চেষ্টা করলেন নিজের ছবি তোলার। যা উঠল, তা তাঁর কাছে যথেষ্ট সুন্দর বলে মনে হলো না। তিনি স্কুল ছাড়লেন।
ছয় মাস নিজেকে বাড়ির মধ্যে আটকে রাখলেন। আর বের হন না। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ১০টা স্ন্যাপ নেন। তাঁর ওজন কমে গেল ৩০ পাউন্ড।
তবু তো একেবারে নিপাট সেলফিটা আসছে না।
হতাশা থেকে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেন ডানি বাউমান নামের এই তরুণ। এরপর তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা হলো।
বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে প্রতিবছর আমেরিকায় মারা যায় ৪৫০ জন।
তবে গাড়ি চালানোর সময় টেক্সট করার কারণে (মোবাইলে বা ধরা যাক ট্যাবে) অ্যাক্সিডেন্টে আমেরিকায় প্রতিবছর মারা যায় ছয় হাজার জন। অনেক বড় সংখ্যা।
বাংলাদেশে অন্তত একজনকে জানি, যিনি রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ফোনে কথা বলছিলেন, বলতে বলতে চলে গিয়েছিলেন ট্রেনলাইনের ওপরে আর ট্রেন এসে পড়ায় মারা গিয়েছিলেন।
আর এটাও খুব পুরোনো খবর যে গবেষকেরা বলছেন, ফেসবুক বেশি ব্যবহারকারীরা নাসিসিজম রোগে ভোগেন।একটা উদারন বলি।
খেজুরের গুড় অনেক স্বাদ। শীতের সকালে এর রস খেতেও অশাধারন। বানানো যায় বিভিন্ন মিষ্টান্ন রেসিপি।
কিন্তু এই খেজুরের রসকে আবার খেতে দেখেছি অন্য ভাবে। মাটির কলসে কিছুদিন রেখে দেয়।তারপর বিশ্রী একটা গন্ধ বের হয়।
তখন ছাকনি দিয়ে ছেকে ,ওই রসটা আবার অনেকের পছন্দ। একটা জিনিস আপনি কিভাবে খেলেন এইটা আপনার রুচি।
তাই শেষে বলি , কোনো কিছুর খারাপ দিক নিয়ে বেশি আলোচনা না করে , কিভাবে ভালোদিকটা ব্যাবহার করা যায়।
ভাবা উচিৎ কিভাবে খেজুরের রসটা খেলে আমার মনের এবং শরীরের উন্নতি হবে, সেভাবেই খাওয়া উচিৎ।
Add Comment