জীবনবৃত্ত

পরিবারের নিয়মানুবর্তিতা থাকা জরুরী

পরিবারের নিয়মানুবর্তিতা
পরিবারের নিয়মানুবর্তিতা

জীবনের একটা বড় অধ্যায় ভীষণ নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে পার করেছি। আবার বাবা একজন যথার্থ কর্তা ছিলেন। তাঁর হুকুমেই চলত পরিবারের নিয়ম কানুন। রাতে সবাইকে একসাথে বসে খাবার খাওয়া এবং তা অব্শ্যই আটটার আগে বাধ্যতামূলক ছিল। মাগরিবের আজানের পরেই আমাদের খাবার গরম গরম সব তৈরী করে ফেলত আমার মা।
সাদা ভাত ,মাছ সাথে ডাল অথবা সবজি একটা ভর্তা। এই ম্যানু সাধারণত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চলত। এশার নামাজের পর ঘন্টা খানিক পড়াশুনা তারপর ঘুম। রাত জাগার কোন অনুমুতি ছিল না। তবে পরীক্ষার আগে খুব বেশি হলে ৯ থেকে ১০ এর বেশী একদমই নয়।
আমি এখন মা ,ভাবছি একটা কঠিন এবং সঠিক নিয়মানুবর্তিতা যদি পরিবারে এখনই তৈরী করতে না পারি ,বাচ্চার সাথে আমার মানুষিক দুরুত্ব তৈরী হবে, সাথে স্বাস্থ্যের বিশাল ক্ষতি হবে যার বয়ে বেড়াতে হবে আমাকেই। সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হব আর্থিকভাবে ,মানুষিকভাবে সাথে শারীরিকভাবে। এত শক্তিশালী আমি নই।

আমার পরিকল্পনা

আমার জন্য এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে না কারণ আমি ৭ বছর থেকে ৮ টার আগেই রাতের খাবার খাই এখন শুধুমাত্র সাহেবকে সাথে নিব।
রাতের খাবার সাহেব আসার সাথে ফ্রেশ হয়েই খাব। যদি তার আসতে রাত ৯ টা বেজে যায় তাহলে আমি বাচ্চাকে নিয়ে খেয়ে নিব কারণ ওকে ঘুম পাড়িয়ে দেবার জন্য সময় দিতে হবে। খাবারে দেরি হয়ে গেলে ঘুম দেরি ,তারপর সকাল দেরি হয়ে যাবে। একটা অনিয়ম অনেকগুলো অনিয়মের সাথে জড়িত।

কেন রাতে হালকা  খাবার পরিকল্পনা করেছি।

দ্বিতীয় :

সকালে ভারী খাবার। প্রধান খাবার সকালেই রান্না করব। যেমন ভাত ,মাছ,মাংস,সবজি,ডাল ,ভর্তা। সঠিক মেন্যু করে প্রতিদিন যেকোন দুইটা বা তিনটা খাবার করব। যা কিনা দুপুরে করা হয়। সেটাই এখন সকালে শেষ করব।

সকালে ভারী খাবার কেন খাবেন

তৃতীয়ত:

খুব ভালো একটা অভ্যাস খাবারের সময় মোবাইল দূরে রাখা। কোন রকম মোবাইল বা ডিভাইস ব্রাউজ করা যাবে না। না এর মানে হল কোন যুক্তিতে না। ফোন আসলেও না। আমি যদি দশ মিনিট পর কারো ফোন ব্যাক করি তাহলে এমন কোন ক্ষতি হবে না কিন্তু একসাথে খেয়েও যদি সেই সময় কোয়ালিটি না থাকে সময়, শ্রম চেষ্টা সব বৃথা যাবে।
রাতের খাবার কেমন হওয়া উচিৎ এবং কেন আমি এই সময় খাব তার কিছু কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করি যা জানা আমাদের সুস্থ্যের জন্য সবার অনেক জরুরী।

পরিবারের নিয়মানুবর্তিতা থাকা জরুরী । প্রত্যেকটা পরিবারের কিছু নিয়ম থাকা দরকার। আমরা কিছু কিছু নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে দিয়ে যাই বলেই পরিবার তৈরী হয়। আমরা একটা সুন্দর পরিবেশে বেড়ে উঠি। যা আমাদের মানুষ বানাতে সাহায্য করে

ads