মানুসিক চাপ শব্দ গুলি শারীরিক কষ্টের থেকেও ভয়ঙ্কর। আমি খুবি একজন অন্তর্মুখী মানুষ ছিলাম।
তাই এই শব্দের সাথে আমি খুব পরিচিত।
কারণ অনেক কিছুই কাউকে বলতে পারতাম না। পারতাম না.. না শব্দটা বলতে।
আর দুইটাই আমার মানুসিক কষ্টের জন্য দায়ি ছিল।
এখনো যে পাইনা তা বলতে গেলে মিথ্যা হবে। এর থেকে সম্পূর্ণ পরিত্রান অসম্ভব।
জীবন থাকলে চিন্তা ,মানুসিক চাপ থাকবেই।
কিন্তু এই মানুসিক চাপ যেন এমন না হয় ভিতরে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ভিতরের কষ্ট শারীরিক প্রভাব ফেলে।
দৈনন্দিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটায়।
আমি আজকে কয়েকটা আইডিয়া শেয়ার করব তা থেকে, অনেকটাই এই কষ্ট এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। সম্ভব জীবনকে নতুন করে দেখা। সম্ভব নতুন করে জীবনের স্বাদ গ্রহণ করা।
অন্যদের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা :
নিজেকে পরিবর্তন করা যতটা সহজ এবং আনন্দের অন্যের পরিবর্তন আনা অনেক বেশী কঠিন। তাছাড়া আরও একটা সত্যি কথা কেউ আসলে কারো পরিবর্তন আনতে পারে না। যারা নিজেকে বদলাতে চায় ,তারা সেই উপায় বের করে নেয়। তাই কে কি করছে ? কোন পথে হাঁটছে ? এইসব নিয়ে খুব বেশী মাথা না ঘামানোই ভাল। এতে মানুসিক চাপ বেড়ে যায়। কাজের কাজ কিছু হয় না।
আরো একটা সমস্যা হয়। যদি আমরা বাইরের কাউকে নিয়ে মাথা ঘামাই তাহলে অনেক সময় অন্যের পদমর্যাদা ,সম্পদ ,সম্পর্ক নিয়েও মানুসিক চাপের কারণ হতে পারে। তাই নিজের দিকে চিন্তা করাই ভাল।
দায়িত্বের বাইরে কাজ না করা :
নিজ নিজ দায়িত্ব আন্তরিকতা আর ভালবাসার সাথে পালন করি। আমরা অনেক সময় সামর্থ্যের বাইরে অথবা সাধ্যের বাইরে দায়িত্ব নিতে যাই। তখন অনেক বেশি মানুসিক চাপ নিতে হয়। আবার কাজও ভালো হয় না। খুব বেশি ভাল হয় না বলে দেওয়া অথবা নিজের কথা বুজিয়ে বলা। আগ বাড়িয়ে অতিরিক্ত চাপ না নেওয়াই ভাল।
পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা :
এর মানে হল নিজের কাছে নিজে স্বচ্ছ থাকা। সততা একটি বিশাল নিজের শক্তি বহন করে।
যদি কেউ সৎ থাকে সে অনেকটাই মানুসিক চাপ কম বয়ে বেড়ায়।
তাই ভিতরে এবং বাইরে নিজেই নিজের কাছে সৎ থাকতে হবে। লোক দেখানো ভালো কাজ মানুষকে প্রচন্ড মানুসিক চাপে রাখে।
কারণ কিছু মানুষ আছে যারা আসলেই খারাপ কিন্তু শুধু ভান ধরে ভালো মানুষের। তাদের উদ্দেশো আসলে হাততালি পাওয়া আর প্রশংসা পাওয়া। যখন এইসবের কমতি হয় তখনি এরা ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়ে মানুসিক কষ্টে ভোগে।
মেনে নেওয়া :
জানি কষ্টের কিন্তু এর দ্বিতীয় কোন উপায় নাই। নিজের জীবনে যাই ঘটুক ভাল কিংবা খারাপ দুইটাই আমাদের মেনে নেওয়া উচিৎ।
কষ্টে থাকলে আমরা অনেকেই অস্থির হয়ে পড়ি। কিন্তু আমি আমার জীবনে দেখেছি ,যা শিখেছি কষ্ট থেকেই শিখেছি।
শুধুমাত্র সুখ আমাদের কিছুই শেখাতে পারে না।
হয়ত অনেকেই বুজতে পারি না ,আবার অনেকেই দেরিতে হলেও বুজি। যা ঘটে তার কোন কারণ থাকে। কিছু শিক্ষা দেয়।
কিছু জানতে পারি। কাউকে চিনতে পারি। নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।
খারাপ সময়ে অস্থির হলে মানুসিক কষ্টের সাথে সাথে অবস্থার সাথে মানিয়ে চলা কঠিনের থেকেও কঠিনতর হয়।
নিজেকে সময় দিন :
আমাদের হাত, পা ,শরীরের প্রত্যেকটা অজ্ঞ প্রতজ্ঞের কিছু চাওয়া আছে। তাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য আছে। সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে আমাদের পালন করা উচিৎ। দায়িত্বে অবহেলা সুখ থেকে বঞ্চিত করে মানুসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। নিজেকে বিশ্রাম দিন ,নিজেকে ভালোবাসুন। নিজেকে দুনিয়ার সকল দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে কিছুক্ষন ভাবতে শিখুন। মানুসিক চাপ থাকবে না।
এই দুনিয়ায় ক্ষনিকের :
আমাদের চলে যাওয়া অনিচ্ছিত। যেখন সময় বিদায় জানাতে পারে এই পৃথিবী। এই কথাটা মনে ধারণ করতে হবে। তাই কোন কাজ দীর্ঘমেয়াদি না করে অথবা হেলাফেলা করা উচিৎ না। ভালবাসা দিতে শিখি কাছের মানুষকে। ভাবতে শিখি আজকে দিনটা পেয়েছি উপভোগ করি। আগামীকাল কপালে নাও থাকতে পারে। এই একটা চিন্তা বিশ্বাস করে ,ভাবতে শিখতে পারলে মানুসিক চাপ দৌড়ে পালিয়ে যাবে। তাছাড়া এর উপকার আরো বিভিন্ন দিকে পাওয়া যাবে।
নিজের থেকে বড় ডাক্তার আর কেউ নেই। নিজেই নিজেকে বুজতে পারলে অনেক সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব। নিজের যত্ন নেই ভাল থাকি। মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্তি দেই।
Add Comment