রান্নাঘরের সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ন হল মসলা। বিরাট একটা যায়গা দখল করে রাখে।
আমরা ভিন্ন ভিন্ন রান্না করতে পছন্দ করি। তাই মসলার ভিন্নতাও আমাদের আয়োজন থাকে।
ঢাকা শহরের ভাড়া বাসার রান্নাঘর গুলো বেশির ভাগেই ছোট হয়।
আবার রান্নাঘরেও কিন্তু ছোট খাট অনেক জিনিস রাখতে হয়।
আবার প্রতিদিন এদের নিয়ে কাজও করতে হয়। তাই আমাদের মধ্যে অনেকেই হাঁপিয়ে যাই এই কৌটা গুলি গুছিয়ে রাখতে।
মসলা গুছিয়ে রাখার পাঁচ কৌশল :
আমি আমার খুব স্বল্প অভিজ্ঞতা থেকে পাঁচটি কৌশল আলোচনা করব। যা মাথায় রেখে কাজ করলে এই মসলার কৌটা গুছিয়ে রাখা এবং তা সুন্দর করে কাজে লাগাতে সাহায্য করবে। যা সবসময় আমি করে থাকি। আমার কাছে মনে হয় , মসলার কৌটা গুলি শুধুমাত্র সাজিয়ে রাখলেই একে গুছানো বলে না। এর সুন্দর একটা বর্ণনা থাকতে হবে। কেন এইভাবে রেখেছি ? এতে আমার কি উপকার হল ?
শ্রেণীবিভাগ করা :
আমাদের রান্নাঘরে কিন্তু অনেক ধরণের মসলা থাকে। কিন্তু আমাদের বুজতে হবে কোন গুলি প্রতিদিন ব্যবহার হচ্ছে ? কোনগুলি মাসে এক দুইবার ব্যবহার হয়ে থাকে ? প্রতিদিন কিন্ত সব মসলা ব্যবহার হয় না। সেই অনুযায়ী আমাদের আলাদা করে রাখতে হবে। তাতে কি হবে , আমার কাজে সুবিধা হবে। সময় বাঁচবে। খুঁজতে কষ্ট হবে না। যেমন হল আমার প্রতিদিন হলুদ ,লবন ,জিরা গুঁড়া এই তিনটা মসলা লাগেই। তাই এই তিন কৌটা আলাদা করে রাখছি। সবার বাসার রান্নার ধরণ ,রুচি আর নিয়ম আলাদা। তাই নিজেদের মত শ্রেণীবিভাগ করে নেওয়া উচিৎ।
স্বচ্ছ কৌটা করা :
আমাদের কিন্তু ছোট ছোট অনেক কৌটা লাগে যদি আমরা মসলাগুলো আলাদা করে রাখি। আমি খুব ভুলোমনা। আমার কাছে কাঁচের যার পছন্দ। কারণ বাইরে থেকেই বুজতে পারা যায় কোন কৌটায় কি মসলা রেখেছি। তাছাড়া লেবেল লাগানোর দরকার হয় না। কাঁচের যার সাস্থ্যসম্মত এবং পরিষ্কার করাও সহজ।
মসলা রাখার জন্য রেক :
মসলা গুছিয়ে রাখার জন্য কিন্তু রেখের বিকল্প কিছুই নাই। কারণ অনেকগুলো ছোট ছোট কৌটা এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে অনেক বড় রান্নাঘরও যায়গা হবে না। কাজে আসবে বিরক্তি। যাদের ক্যাবিনেট আছে তাঁদের জন্য কিছু বলার নেই। ওখানে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে পারবে। কিন্তু এমনও হয় ভাড়া বাসায় তাকও থাকে না। এমন সমস্যাও আমাদের মুখোমুখী হতে হয়। যেমন আমার ক্ষেত্রেই হয়েছে। আমার ভাড়া বাসায় রান্নার তাক ছাড়া আর নেই। আমি মালিকের অনুমতি নিয়ে দুইটা তাক নিজে লাগিয়ে নিয়েছি।
গুছানোর নিয়ম :
হিজিবিজি করে রাখলে অনেক সময় নিজেই মনে রাখতে পারব না। কোন মসলা কোথায় রেখেছি।
আমি মসলার কৌটা গুলি গুছিয়ে রাখার সময় এমনভাবে রাখি যেন সবগুলি দেখা যায়।
অর্থাৎ কোন কিছুর আড়ালে কোন জার্ রাখি না।
আবার কোন জার্ কোন বড় পাত্রের ভিতরেও রাখি না।
সহজেই আলাদা করা যায় কিছু মসলা যেমন এলাচ ,দারচিনি ,এমন বড় বড় সাইজের মসলা একটি জারেই রাখি যেন যায়গা কম লাগে।
কারণ সবগুলির শ্রেণীবিভাগ করতে গেলে জার্ এবং যায়গা দুইটার প্রয়োজন।
আর সেখানেই আমার সীমাবদ্ধতা।
মানুসিকতার পরিবর্তন :
আমরা যা সচরাচর দেখি তাই আমাদের অবচেতন মন বিশ্বাস করে নেয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত আছেন। একসময় এমন ভুল ধারণা আমিও পোষণ করতাম যা ভুল ছিল। তা হল কিছু চিন্তা যেমন এটাত রান্নাঘরেই থাকবে এতো দাম দিয়ে নেওয়ার কি আছে। কিছু অপ্রয়োনীয় জিনিস মিথ্যা মায়ায় শুধু রেখে দেওয়া। যেমন তেল শেষ হয়ে গেলে তার ডিব্বা। যা হয়ত ৬ মাসেও কোন কাজে ব্যবহার হয় না। কথা মাত্র দুইটা কিন্তু এর জন্য যে কি পরিমাণ ভোগান্তি হয় তা আমরা নিজেরাই জানি না। বুজতেও পারব না যতক্ষন সেই মানুসিকতা থেকে বের না হতে পারি।
আমার কাছে মনে হয় নয় বিশ্বাস করি বাসার মধ্যে রান্না ঘর খুব গুরুত্তপুর্ন।
একে গুছিয়ে রাখলে মাথার ভিতর থেকে অনেক যায়গা ফাঁকা হয়। কাজ সহজ হয়।
সময় ম্যানেজ করা কঠিন কিছুই নয়।
অনেকটা সময় এই ঘরেই থেকে কাজ করতে হয় তাই এর গুরুত্ব বুজতে পারি।
যদি স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করি সে দিক থেকেও এর গুরুত্ত অনেক বেশী আমার কাছে।
Add Comment