জীবনবৃত্ত

বিবাহিত জীবন থেকে শেখা। সুখী দম্পতি হওয়া কি ভাগ্য ?

বিবাহিত জীবন
বিবাহিত জীবন

বিবাহিত জীবন মোটেও বোরিং নয়। একজনকে কাছে পাওয়া। যার সাথে কিনা সব কিছু শেয়ার করা যায়। সন্তানের মা হওয়া। বিষয় গুলি আসলেই অশাধারন। যাই হোক চার বৎসর বিবাহিত জীবনে চারটা বিষয় আমি শিখেছি , জীবন থেকে। শুধু ভাগ্যের কারণে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। সুখী দম্পত্তি হওয়া শুধু মাত্র ভাগ্য নয়। এইটার জন্য পাশে থাকা মানুষ টাকে সম্মান দিতে শিখতে হয়।

১. বিবাহিত জীবন টা আসলে অশাধারন।

স্বামী একটা মেয়ের জীবনে বিশাল সামাজিক সিকিউরিটি। আমাদের সমাজে একটা মেয়ে একা চলতে চাইলে পাশের বাড়ির ৫ বার ফেল করা কুদ্দুস ভাই থেকে শুরু করে ২০ বছরের বড় আক্কেলও বাঁকা পথে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। স্বীকার করতেই হবে, কোনো মেয়ে যদি ভালো কিছু অর্জন করে এর পিছনে একজনের শক্ত হাত থাকে সে হবে বাবা , স্বামী ,ভাই অথবা বন্ধু অর্থাৎ একটা ছেলে মানুষ। তাই পাশে থাকা মানুষটার প্রতি শ্রদ্ধা এমনি আশার কথা। আর এই শ্রদ্ধা, সম্পর্ককে হেলথি করে।

২. সম্মিলিত ভাবে কাজ করা

সম্পর্ক সত্যি অনেক অশাধারন হবে যদি দুজনে মিলে একটা কাজ করা যায়। আমরা মাঝে মাঝে প্রোগ্রামিং নিয়ে কথা বলি , কাজটা কিভাবে সম্পুন্ন হবে আলোচনা করি। এতে করে কারো কাজ নিয়ে কেউ বোর ফিল করার সময় হয় না। এখন কেউ বলতেই পারেন আমরা একেই ক্যাটাগরিতে তাই এইটা সম্ভব। ভুল কথা। বউয়ের সাথে গিয়ে একদিন রান্না করতে যান , তাহলে দেখবেন তরকারিতে লবন বেশি হলে বলতেছেন ব্যাপারনা ,একদিন এমন হতেই পারে।

আমি এমন অনেক কে জানি যে বাবা হয়ে বেবির রাতের কান্না বিরক্ত প্রকাশ করে। দুই একদিন বাবুর প্রসাব পায়খানা পরিষ্কার করেন। বাবুকে ঘুম পড়ানো , খাওয়ানও এইসব করেন। বেবির বিরক্তিতে বিরক্ত হবেননা।  বউ কে মাঝে মাঝে অফিসের ফাইল এনে দেন , বাসায় আসতে ৫ মিনিট দেরি হলে কৈফৎ না চেয়ে বলবে আজ তোমার খুব কষ্ট হয়েছে তাইনা। এইভাবে সম্পর্ক হেলথি হয়। দুজন দুজনকে বুজতে হবে।

৩.নিজের যত্ন নেওয়া খুবেই জরুরী

একজন অগোছালো মা কিংবা বউ কখনোই সন্তানের অথবা স্বামীর যত্ন নিতে পারে না। আমি দেখেছি হয়তো আপনারও কেউ দেখবেন ২০/৩০ বৎসরের সংসার জীবনের একটা বড় সময় রান্না ঘরেই কেটে দেয় অনেক মেয়েরাই কিন্তু তার ঘর এতোই অগোছালো থাকে যে এক গ্লাস পানিও খেতে মন চাই না।

রান্নার কথা বাদেই দিলাম। এদের অনেক সময় থাকে তাই তাই বাকি সময় টাতে নিজেকে দুর্ভাগা বলে কপাল চাপড়াবে আর পাশে থাকা মানুষ টার প্রতি অভিযোগের বস্তা ঢালতে থাকবে। সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য নিজের দায়িত্ব ভালো ভাবে পালন করতে হলে নিজের যত্ন নেওয়া দরকার।

৪.কাজের গুরুত্ব

নিজের রূপ যতই মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি করুক না কেন দিন শেষে একশন এরেই হিসাব নিকাশ হয়। তাই সৌন্দের্যের পিছনে না ঘুরে। ভালো ভালো কাজ করা উচিত, দুজন দুজনের অবস্থান থেকেই।

Add Comment

Click here to post a comment

ads