জীবনবৃত্ত

ফ্রিজের পানি পান করা উচিৎ নয় কেন জেনে নেই

ফ্রিজের পানি
ফ্রিজের পানি

ফ্রিজের পানি ছাড়া যাদের চলেই না তাদের জন্য দুটি কথা না বললেই নয়

যদি আপনি নিয়মিত ফ্রিজের পানি পান করে থাকেন তাহলে এটি আপনার জন্য একটি ক্ষতিকর অভ্যাস। ঠান্ডা পানি বা বরফ দেয়া পানি পান করলে অস্থায়ী প্রশান্তি পাওয়া যায়।সঠিক ভাবে পানি পান করেন।

১.উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করলে তা খাবারের চর্বি অংশটুকুকে কঠিন অবস্থায় নিয়ে যায়। একই সঙ্গে ঠান্ডা পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে শরীর ব্যস্ত হয়ে পড়ে, আর এ কারণে খাবার পরিপাকের প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে। পরবর্তী সময়ে ঠান্ডা পানির সহায়তায় খাবারের সেই কঠিন হওয়া অতিরিক্ত চর্বিকে পরিপাক করাটা শরীরের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এসব অতিরিক্ত চর্বি কখনো কখনো রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শোষিত হয়। ধমনিতেও ধীরে ধীরে জমতে থাকে চর্বি। পরিণাম, উচ্চ রক্তচাপ। এই সমস্যা একজন মানুষকে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

২.পেট কামড়ানি সৃষ্টি হতে পারে

ফ্রিজের পানি পাকস্থলীর স্নায়ুকে হঠাৎ উত্তেজিত করে পেটে ক্র্যাম্প বা পেট কামড়ানি সৃষ্টি হতে পারে।

৩.পেটের চর্বিকে বৃদ্ধি করে

দেহের তাপমাত্রার চেয়ে খাবার বা পানীয়র তাপমাত্রা অনেক কম হলে সেটা দেহের ভেতর ঢোকার পর পরিপাকতন্ত্রকে ব্যবহারের উপযোগী উষ্ণ করে তুলতে হয়। এই কাজে সবচেয়ে বেশি যুক্ত থাকে পেটের চর্বি বা ফ্যাট কোষগুলো। যারা ফ্রিজের পানি খান নিয়মিত তাদের শরীর অভিযোজনের মাধ্যমে পেটের চর্বিকে বৃদ্ধি করে এবং আরও শক্ত করে নেয়।

ঠান্ডা পানি আমাদের হজম শক্তিকে সমস্যা করে কারন রক্ত নালীকে সংকুচিত করে দেয়। যখন আমরা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করি তখন হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীর গতিতে হয় যার ফলে খাবারের পুষ্টি গুন্ নষ্ট হয়ে যায়। শরীর ঠিক ভাবে এই খাবার গুলিকে শোষন করতে পারে না , ফলে এই গুলা চর্বি হয়ে আমাদের শরীরে জমা হয়ে থাকে। ঠিক এই কারনে আমরা যাঁরা নিয়মিত ফ্রিজের পানি পান করি তারা সহজেই মোটা হয়ে যাই।

৪.হজমে বাঁধার সৃষ্টি করে

পরিপাকনালিতে ঢোকা শীতল পানি গলা, পাকস্থলী ও মুখের স্নায়ুগুলোকে সাময়িকভাবে অবশ করে দেয়। পরিপাককাজকে ধীর করে দেয়। খাবার হজম করতে তখন শরীরকে বেশি শক্তি ব্যয় করতে হয়।

৫. যাঁদের অ্যাজমা, টনসিলাইটিস কিংবা ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ফ্রিজের ঠান্ডা পানি একেবারেই নিষিদ্ধ নয় হারাম করা উচিৎ।

৬. পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়

আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। যখন আপনি খুব কম তাপের পানীয় পান করেন তখন আপনার শরীরকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক বেশি শক্তি ব্যয় করতে হয়। এই ক্ষয়িত শক্তি হজমের কাজে ব্যবহার হতে পারতো । এবং শরীরে পুষ্টি শোষিত হতে পারতো। এ কারণেই ঠান্ডা পানি নিয়মিত পান করলে শরীর কম পুষ্টি পায়।

ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করা শরীরের অনেক ক্ষতি ডেকে আনার থেকে , কুসুম গরম পানি পান করা অনেক ভালো। কারন কুসুম গরম পানির অনেক উপকার আছে। যদিও এইটা একটু কষ্টকর প্রাকটিস করা।

Add Comment

Click here to post a comment

ads